কবি পরিচিতি : কৃপাসিন্ধু মাহাতর জন্ম ১৯৯১ সালের ৩ রা মার্চ এক অজ পাড়া গ্রামে। গ্রামের নাম দড়বেড়িয়া, পশ্চিম বঙ্গের পুরুলিয়া জেলার অর্ন্তগত। গ্রামের একে বারে শেষ প্রান্তে। বাড়িটি খড়ের চাল দেওয়া মাটির তৈরী। কবির পিতা উপেন্দ্র বাউল বর্তমানে একজন পেনসন শিল্পী। মাতা বৈশাখী যেন সাক্ষাত পার্বতী। কবির পড়াশুনা উচ্চমাধ্যমিক পাশ। অবশ্য দু দুবার দুটো নামকরা কলেজে ইংরেজী ও ইতিহাস অনার্স নিলেও দুই বছর করে পড়াশুনা করার পর ছেড়ে দেয়।
সত্যি কথা এই ভেবে যে ডিগ্রী করে ছাই পাঁশ হবে। আমাদের দেশে বা রাজ্যে কত ডিগ্রী ধারি মাঠে কাড়া মহিষ চরায়। তারপর এক কথায় কলেজ ছেড়ে দেওয়ার পর সংসার সংগ্রামে ঠোকর ঠোকর খেতে খেতে কবির সাহিত্য ভালোলাগা বা সাহথ্যের পথে আসা। কবির সাহিত্য চর্চা প্রায় বছর পাঁচেক। কথায় কথায় কবি কখনও বন্ধুদেরকে বড়াই করে বলে যে সে একজন স্বভাব কবি। কবির বর্তমান পেশা টিউশন মাস্টারি। এছাড়াও কবি একটা ছোট্ট গুমটির মালিক।
----------------------------------------------------------------
নিস্ফল অভিসার
দেখেছিলাম আমি তোমার চোখে
সত্যিকারের জল
বিদায় বেলা কেঁদেছিলে তুমি
মনে ছিলনা কোন ছল।
মৌন হয়ে রয়েছিলে তুমি
মুখ বধিরের মতো
করার কিছুই ছিলনা আমার
যাহা সমাজের কাছে ছিল অবৈধ।
বলি রাখতে পারিনি আমি তোমার
নৈশ প্রেমাভিসারের আহ্বান
তাই বলে কি বাসবনা ভালো
দেবনা মনে স্থান।
কবি হৃদয় উন্মুক্ত দ্বার
যার হৃদয়ে রয় হরির নিবাস
সে কি কখনও ছিঁড়তে পারে
অন্যের বাগানের ফোটা
পাপড়ি ফুলের অর্ন্তবাস।
-----------------------------------------------------------------
বিচরণ ভুমি
আজও টানে সেই পথ ঘাট সেই মাটি
যেখানে কেটেছে মোর দীর্ঘ সময়
কেটেছে মোর কৈশোর যৌবন কাল
তাহা সোনার চেয়ে ও খাঁটি।
কী ভাবে বলিব তোমাই
ওহে বট বক্ষ
নদীর ধারে কতবার
শেকড় ধরে করেছি নৃত্য।
হে বালুচর ওহে বৈশাখের মরানদী
মনে কি পড়ে তোমার?
কতবার দিয়েছিলাম বাজি।
না মনে নেই, রইবে কেন?
শুধুই আমি ভাবি।
তুমি তো জড়,তোমার প্রাণ আছে বঝি
তবুও কেন যে মনে হয়
তোমার সহচর্যে আমি খুশি।
-------------------------------------------------------------
ভ্রুণ হত্যা মহাপাপ
কলমে- কৃপাসিন্ধু মাহাত
তারিখ-21/5/2020
আজও শুনতে পায় আমি মাগো
সেই ভ্রুণ শিশুর কান্না
আপন জননী মেরেছিল যারে
বর্তমানের গর্ভনাশক পরমানু সম বটি দ্বারা
আজও কাঁদে সেই পরম পিতা
মৃত ভ্রুণের আর্তনাদ শুনে
সেই তো দিয়েছিল আদেশ বলি
প্রিয়তমা অবলা নারীরে।
ধিক বলি এমন পিতা মাতাদের
যারা নিজ সন্তান করে ধ্বংস
দু হাত তুলে ডাকি প্রভু এরা
হয় যেন সমুলে র্নিবংশ।
বলি সৃষ্টির কাজে দিলে বাধা
নরক আছে খোলা রাস্তা
ওরে মুর্খমানব করিস্ না
আর ভ্রুণ হত্যা।
ওরে নর বলি তুই যে কিন্নর
বলি ধিক তোর পুরুষত্বে
আর সেই রাক্ষসী কামিনী অসতী সন্তান ঘাতিনি
বলি ধিক তোর মাতৃত্বে।
---------------------------------------------------------------
No comments:
Post a Comment