আমি নয় শিক্ষিত, নয় অশিক্ষিত
আমার নেই কোনো ডিগ্রি, নেই কোনো পাস
আমি শিখিনি হিন্দি, ইংরেজি, উর্দু
শিখেছি বাংলা কারণ আমি যে বাঙালি।
পরেছি মাধ্যমিক পর্যন্ত,
তাও পনেরো বছর আগে।
তাই সব ভুলে গেছি,
ভুলে গেছি লিখতে,
লিখতে গেলে হয় আমার বানান ভুল।
জানি না কোথায় হয় দাঁড়ি, কমা, ফুলষ্টপ।
সব ভুলে গেছি আমি।
মনে পড়ে ছোট্ট বেলার কথা,
মা বলতেন - বাছা আমার লেখাপড়া কর, লেখাপড়া কর, লেখাপড়া করে।
আমি তখন বলতাম মাকে,
দুর ছাই ভালো লাগে না
আমার লেখাপড়া করতে।
মা বলতেন তখন -
ওরে এখন বুঝবি না -
যখন হবি আমাদের মতন,
তখন বুঝবি
লেখাপড়া র কত মূল্য।
আমি তখন মাকে বলতাম - তুমি তো কই লেখাপড়া কোরোনা ।
করো শুধু বাড়ি র কাজ কর্ম।
সত্যি, আজ আমি বড়ো হয়েছি
ব্য়স হয়েছে তিরিশ বছর।
আজ বুঝি মায়ের ঐ কথার মুল্য কত।
আজ আমার বড়ো ইচ্ছে হয়
আবার আমি লেখাপড়া করি
কিন্তু লজ্জা করে আমার।
আবার ভাবি শেখার তো কোন
ব্য়স নেই, জানার তো কোন শেষ নেই
তাই আমি আবার শুরু করি লেখা।
হাতের লেখা আমার ভিষন বাজে।
বুঝতে পারেনা অনেকে,
বুঝতে হয় কষ্ট করে
তবুও আমি লিখি।
আর লিখতে আমার বড়ো ভালোলাগে।
জানি না আমার এই লেখার শেষ কোথায়?
আমার এই লেখা কি খাতার মধ্যে পরে থাকবে?
না কি আমার এই লেখা পাবে একদিন সম্মান।