Monday, 15 November 2021

"ভয়েস" -- দিলীপ কংস বণিক


মনের আবেগ প্রকাশে উচ্চারিত হয় 'ধ্বনি',
কতো সুরের মূর্ছনা শ্রুতিমধুর বাক্য শুনি।
গীতি তরঙ্গে হয় মোহিত কন্ঠমাধুর্যে র প্রকাশ,
বজ্রের কন্ঠ ঘোষে কম্পিত মহী অশ্রু বর্ষে আকাশ।

মায়ের সুমধুর স্নেহ বাক্যে শীতল মন-প্রাণ, 
পিতার অনুশাসন বক্যে গড়ি উন্নত জীবন।
শিক্ষকরা বাক্য দ্বারাই করেন জ্ঞান-চক্ষু দান,
বন্ধু র প্রীতি বাক্যে হয়, 'হৃদয় মহান'।

মহান অনুভবে সৃষ্টি  "ভয়েস" সংগঠন,
সাহিত্য সাংস্কৃতিক এর মুক্ত অঙ্গন।
প্রচারের আলোয় আসিতে পারে না এমন গুণীজন,
তাঁদের প্রকাশ প্রয়াসে হয় সংঘের সৃজন।
শুধু সাহিত্য ই নয়, করেন সমাজ সেবা মূলক কর্ম,
ব্রতী হয়েছেন পালন করিতে মানবতার মূল ধর্ম।
বিজয়ের সুপ্ত বাসনা আজ বাস্তব বিজয়
হয়েছে সকল কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায়।
'ভয়েস' কথার যথার্থ অর্থ বাহক এ সংগঠন,
শিখরে পৌঁছবে ই 'সাম্যবাদ' সঠিক মূল্যায়ন।
********************************
                🙏🌹🌹🙏

শব্দেরা আর্তনাদ করে -- -প্রদীপ বাগ


        ‌‌     
অজস্র লেখা কবিতা সাহিত্য পত্রিকা সজ্জিত রয়েছে পৃথিবীর গ্রন্থাগারে,
রঙচটা ধোঁয়াটে পাঁপড় ভাজা কাগজের অক্ষর গুলো খসে খসে ঝরে পড়ে,
অবহেলার ধূলোয় আলমারিতে রাখা বইগুলো নিত্য উইপোকা মনের সুখে কুরে কুরে খায়,
আভিজাত্যের নিদর্শন জ্ঞানের প্রতীক তবু জাগলো না সমাজ মানবিক চেতনায়!!
প্রাজ্ঞ জনেদের ফুসফুসের ধমনি হতে নির্গমন রক্তের কালিতে লেখা পৃথিবীর পান্থশালার সারবস্তুর কথা,
জীবনের উপসংহার বিরহ বিদুর বেদনার্ত মনের সাদা পাতা অনুভূতির অক্ষরে শব্দের সূক্ষ্ম কারুকার্য রয়েছে সেথা,
অমনিশায় নিশ্চুপ নির্বিকার শব্দ চাষী হতাশাগ্রস্থ আজ উঠলো না পূর্ণিমার চাঁদ নিঃসঙ্গ রাতে!
শুধু লিখে রেখে যায় অব্যক্ত মনের না বলা কথা উদিত হয় যদি নতুন অরুণোদয় দিগন্ত প্রভাতে,
সুশোভন মুদ্রণে শব্দের বুনন অলঙ্কার খচিত অজস্র গ্রন্থ উপন্যাস কবিতা নান্দনিক লেখা,
সাহিত্য সাধনার পথিকৃৎ রক্ত মাংসের মানুষ আছে তাই কবিত্ব প্রাপ্তির স্বঘোষিত আত্মঅহমিকা,
পুঁথি গ্রন্থ হতে শব্দের অক্ষরমালা বিদ্রোহী কন্ঠে তুলেছে আওয়াজ মুক্তি চাই থাকবে না আর কাগজে বন্দী হয়ে..........
আধুনিক সভ্যতা সামাজিক অবক্ষয়ের পথে,রাশি রাশি গ্রন্থের পাহাড়ে জ্ঞান চেতনা লুকিয়ে আছে ভয়ে !!!
পচ্ছন্দের পাতা হতে আওড়ায় উদ্ধৃতি শব্দের ভাষা মেকি পান্ডিত্যের আড়ালে চারিদিকে সাধু সেজেছে শয়তান,
কেতাবি ভাষা শব্দে ঠাসা ওরা আর্তনাদ করে বন্ধ বইয়ের দরজা খুলে জ্ঞানের আলোকে পেতে চায় পরিত্রাণ............
        (সংরক্ষিত)

যুগের প্রতীক ✒️পরেশ চন্দ্র দাস



"যত্র যোগেশ্বর কৃষ্ণো যত্র পার্থো ধনুর্ধর"
কৃষ্ণ যোগে বুদ্ধিমত্তায় সাহিত্যের 
নবজাগরণের ছায়া,
তীক্ষ্ণ শেন দৃষ্টির লেখক-পাঠকের
খেলায়—ভয়েস তার তটিনীবিধৌত
সমভূমির একবিন্দু জল ।
সত্তা, বুদ্ধিমত্তা কালের প্রবাহে মহীরুহে পরিনত হওয়া এক অপেক্ষার আঙ্গিকে স্রোতবহা।
সূচনা- মুষ্টিমেয় সৈনিকের আদম্য
পরিশ্রমের সাফল্য লাগজুরিয়াস্।
কলা-বালি মিশ্রিত রোল,
এক অপুর্ব স্বাদ সাগরের তীরে
দীপকরাগিনীর সুর ।
বাধা, গতিকে দুর্বার করে তোলে—
যদি এক কেন্দ্র বিন্দুর লক্ষ হয়
ব্রহ্মাস্ত্র ।ধ্বংশের উপত্যকায়
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে *ভয়েস- কোভিট* জমজ সন্তান।
পাঠকপিপাশু গড়ে তোলার
কান্তারস আস্বাদনের নিরিখে
ক্ষৌণিময়  কৌশিকী সম।
ভয়েস নামক কষ্টি পাথরটা
আবৃতকারে , মাদুকড়ী সংগ্রহে
পরিব্রাজক।
আবেগমুগ্ধ নিরন্তন ভাঙ্গা গড়ার খেলায় ,মেতে আছি ভয়েসের
সৃজনশীল শুদ্ধ লেখক হবার
তাড়নায় ।
ভানু-শশীর মেলবন্ধন,সহিষ্ণুতার
মেঘডালে  সাম্যের গীতবিতানে
ভয়েসের নতুন পালক এসে যুক্ত 'যূগের প্রতীক, ।

মনে পড়ে - ডাঃ অসিত কুমার সরকার



তোমায় মনে পড়ে, 
শীতের সন্ধা সাজানো 
এই বিকেলে, 
মিনি মিনি কুয়াশা ঘেরা 
প্রকৃতির নিচে। 
তোমায় মনে পড়ে , 
ছাদের কানায় সাজানো 
বেনচিতে বসে, 
ঐ দূরের পথ দিয়ে 
এখুনি যাবে কোথাও । 
ছিঁড়ে গেছে প্রেম
ভালোবাসার বাঁধন, 
তবু ভালোবাসি
ভালোবাসি আমি তোমাকেই। 
একটু দেখি বা না দেখি
তবু তার পূর্বাভাস 
বয়ে আসে বাতাসে, 
ঐ আম বাগান
পুকুরের বুক চিরে। 
মনে পরে যায়
তোমার ও মুখ খানা, 
শরীরের লাবণ্য, 
মনে পরে যায় 
সেদিনের সেই 
দূরে সরানোর ভাষা, 
ছিঁড়ে ফেলা ভালোবাসার 
কুটি কুটি চাহনি। 
মনে পরে যায় 
প্রথম দেখা তোমার 
মুচকি হাঁসির ঝলকানি 
ভালোবাসার ইশারায়। 
ভালোবাসা, ভালোবাসা, 
হা, ভালোবাসা, 
তোমায় মনে পড়ে।।।

তোমার কণ্ঠ - কার্তিক ঘোষ



তোমাকে আমি দেখিনি কোনোদিন
তবু তোমার কণ্ঠ শুনেছি বহুবার,
আছে আবেগ,
আছে ক্লান্তি হীনতা।
তোমার সেই কণ্ঠ মনে পড়লেই
মুখস্ত করে না মনে রাখতে পারা
বহুকবির নাম আমার মনে পরে যায়,
যেমন রবীন্দ্রনাথ,
তাকে আমি কোনোদিন পড়িনি
তবু যেন মনে হয়
তাকে আমি চিনি,
বহুযুগ ধরে চিনি।
কাজীনজরুল,তার প্রত্যেকটা বিদ্রোহী কথা যখন তোমার ঐ কণ্ঠে জাগে
তখন নিজেকেই যেন বিদ্রোহী মনে হয়
বিদ্রোহ করতে ইচ্ছে করে,
রক্তকে আপন করে নিতে ইচ্ছে করে
নেতাজির সেই কথা " তোমরা আমাকে রক্ত দাও,আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব " যেন নিজের বলে মনে হয়।
ভীষণ আপন মনে হয়।
হ্যাঁ তোমায় আমি চিনিনা,
তবে তোমার ওই কণ্ঠকে আমি চিনি,
প্রতি রাস্তায়,রাস্তায়
প্রতি বস্তিতে - বস্তিতে
প্রতি মঞ্চে মঞ্চে।