ঈশ্বরে সৃজিলেন জীব ,
বিধির বিধান,
বহু শাস্ত্রে রহিয়াছে
প্রকৃষ্ট প্রমাণ ।
সৃষ্টিকর্তা রচিলেন
জীব গতিধারা ,
কভু না হবে রুদ্ধ
জীবের দুর্নিবার ধারা ।
স্মরনাতীত কাল হতে
জীবের দুই বিভাগ ,
এক ভাগে পুরুষ জাতি
নারী আর ভাগ ।
পুরুষ সুঠাম দেহী
শক্তিশালী হয় ,
নারী দেহ কমনীয়
ততটা দৃঢ়া নয় ।
জীব দেহ ধারণের জন্য
খাদ্য সংগ্রহেতে ,
পুরুষই অগ্রনী হয়,
নিয়ম জগতে ।
পুরুষই জগতে শ্রেষ্ঠ
কর্মের বিচারে ,
পুরুষ-চরিত্রেই তার তরে
সেই গুন ধরে ।
জীবকূলের যাহাতে
বিনাশ না হয় ,
বংশ রক্ষার দায়িত্ব
পুরুষে বর্তায় ।
দৈহিক দৃঢ়তায় মরদ
সব জীবে আছে,
নারী তাই অবলা মানি
বেটাছেলের কাছে ।
সমাজেতে নরগনের
যতেক অবদান ,
রমনীর না হয় কভু
তাহার সমান ।
জীবন সমরে কর্ম
যাহা পুরুষেই পারে,
বিপদে আপদে সে তো
নিয়োজে নিজেরে ।
উপার্জন কালে পুরুষের
ভূমিকা অগ্রনী ,
সামাজিক শৃঙ্খলায় জায়া
হয় যে ঘরনী ।
সর্ব কর্ম অসম্ভব হয়
নারী-শক্তির পক্ষে,
পুরুষ তুলনায় নারী
না রহে সমকক্ষে ।
দোষে আর গুনে হয়
মনুষ্য চরিত্র ,
নারীও মুক্ত নহে এতে
বিদিত সর্বত্র।
ক্ষেত্র বিশেষে মরদ
হয় পরিত্রাতা ,
কখনোও বা শত্রু হয়
"সহোদর ভ্রাতা ।
কখনো বা নারী হয়
লাঞ্ছনার শিকার ,
যদি কভু হয় পুরুষের
বুদ্ধির বিকার ।
যুগে যুগে পুরুষ কর্তৃক
দমনোৎপীড়ন ,
ললনা গন নীরব- কন্ঠে
সয়েছে আজীবন ।
হয়তো বা নরগনই শ্রেষ্ঠ
দেহ- আকৃতিতে ,
তবু বামার গুন বার্তা
না পারি বর্ণিতে ।
রমণীরা "মা" না হলে যাবে
সৃষ্টি রসাতলে ,
জগৎ অচল হবে দুই- এ
সমান না হলে ।
সংক্ষেপেতে মর্দের
দিলাম যে বর্ননা ,
মহিলারা আমার 'পরে
ক্রোধিতা হয়ো না ।
কিছু মর্দা নেশা করে
হয় যে বেসামাল ,
মানবী তখন বহু কষ্টে
ধরে ঘরের হাল ।
মানবী কে অবজ্ঞা জ্ঞানে
না করো দর্শন,
তারাও করে দক্ষ হস্তে
দেশের শাসন ।
সংসারেতে নারী- পুরুষ
দুয়েরই আবশ্যক ,
বাঁচার জন্য তারা
একে- অন্যের পরিপুরক