Sunday, 7 November 2021

নাম না জানা পাখি - সুনীপা শী



দুই টি পাখি গাছের ডালে, 
বসে আছে আপন মনে 
তাকাই তারা এর ওর দিকে 
কি যেনো কথা বলে ওদের মনে। 
আমি কি আর বুঝি। 
দেখছি তবু ওদের দিকে, 
কোথাও না গিয়ে। 
দেখি ওরা কি করে। 
হঠাৎ দেখি দুই টি পাখি 
করে কিচিরমিচির। 
আচ্ছা ওরা কি ঝগড়া করছে? 
না কি নিজেরা কথা বলছে? 
আমি কি আর ওদের ভাষা বুঝি। 
তারপর দেখি, 
পাখিদের কিচিরমিচির হলো বন্ধ। 
একটি পাখি গেলো উড়ে, মাঠের দিকে 
আরেক টি বসে আছে, গাছের ডালে। 
তাকিয়ে আছে মাঠের দিকে। 
কিছুক্ষণ বাদে - 
পাখি টি এলো উড়ে হতাশ হয়ে। 
শুনতে যেনো পেলাম আমি, 
আস্তে করে বল্লো পাখিটি
কি-চির-মি-চির। 
তখুনি গেলো উড়ে আরেকটি পাখি
ঐ বাগানের দিকে। 
আর, সঙ্গে সঙ্গে উড়ে এলো বাগান থেকে, 
অন্য পাখিটিকে বললো তারাতারি - 
কিচিরমিচির কিচিরমিচির। 
আর সঙ্গে করে নিয়ে গেলো
তার সঙ্গীটিকে ও। 
রইলাম আমি তাকিয়ে গাছটির দিকে। 
এলো নাকো আর ফিরে 
ঐ পাখি দুটি। 
ছোট্ট খোকা আমি, 
বুঝি না আমি ঐ পাখিদুটির কথা। 
তবে পাখিদের কিচিরমিচির 
করার কারণ আমি বুঝেছি, 
ওরা খাবার খোঁজ করার কথা বলছিল। 
পাখি দুটির কথা নয় আমি বুঝলাম। 
কিন্তু, পাখি দুটির নাম তো আমি জানি না। 
আমার পাশে থাকত যদি বড়োরা কেউ-
করতাম আমি তাদের  জিজ্ঞাসা। 
আচ্ছা পাখি দুটির নাম কি? 
                              

আলোর রোশনাই - প্রদীপ বাগ


 

শাক্ত ধর্মের আরাধ্য দেবী তুমি আদ্যাশক্তি মা মহামায়া,
ঘোর অমানিশার কুজ্ঝ্বটিকা থমকে জীবন ভুত চতুর্দ্দশী।
মহাশ্মশানের বুকে নিত্য ভুতের নৃত্য চিতার দাবানলে,
করেছে গতিরোধ মহাকাল শায়িত মা কালীর পদতলে।
স্বর্গ মর্ত্য পাতাল ধরাধাম সর্বত্র নরাধম অসুরের গ্রাসে,
দর্পের কোলাহল উন্মত্ত জয়ে দৈত্য দানবেরা অট্টহাসে।
ষড়রিপুর যূপকাষ্টে মানবতা বলি রক্ত তিলক ললাটে,
মুন্ডমালিনী করালবদনী শুধু হাসে আর ভেংচি কাটে।
লালসার যজ্ঞকূন্ডে দগ্ধ কৈশোর যৌবন কোন অভিশাপে?
তৃপ্ত রসনা সিক্ত বাসনা বার্ধক্যের শেষে হরিনাম জপে!!
স্বার্থের টানাটানি পঙ্কিলতা ভরা জীবন যায় বিফলে,
শেষ পলকে মুদিবে আঁখি তারায় যেন গো মাতারা মেলে।
আলোক মালায় প্রতি বছর আসে কালীপুজো দীপাবলি,
জ্বলেনা হৃদয়ে জ্ঞানের দীপ থাকে অন্ধকার কানাগলি।
ভাগ্যের আকাশে আশার ফানুস আলোর রোশনাই জ্বলে,
দিয়েছো বরাভয় সন্তানেরে মাগো সেকি তুমি ভুলে গেলে!
কালিমা মুছে দিয়ে ত্রিনয়নে দীপ্ত তেজে ঘুচে যাক তমসা,
উদ্ভাসিত হোক চেতনার রোশনাই জেগে উঠুক মানবতা।।
       

দীপাবলি - ডাঃ অসিত কুমার সরকার


 

অন্ধকার থেকে আলোর পথে
শুরু হয়েছে এই যাএা;
সবার জীবনে এই দীপাবলি 
আনুক নতুন মাএা। 
তমসাবৃত মন থেকে তমসা 
হয়ে যাক আজ দূর ;
আনন্দে মন উঠুক ভরে, 
এই প্রাণেতে বাজুক সুর। 
মন মন্দিরটি সাজুক আলোতে, 
হৃদয়েতে দীপ জ্বালি, 
মুছে যাক এই মনের কোনায়, 
জমে থাকা যত কালি। 
বিষয় বিষেই ডুবে থাকা মনে 
জটিলতা অবিরত ;
হাজার জ্বালা যাতনায় 
মনের গভীরে ভীষণ খত! 
এই দীপাবলিতে প্রাথনা করি
মিলে মিশে একসাথে, 
অশুভ শক্তির বিনাশ হোক, 
দীপাবলির শুভ রাতে। 
মায়ের আশিস সকল সময়
আছে আমাদের পরে ;
হৃদয় হোক এই দীপাবলি, 
হোক দীপাবলি অন্তরে। 
এই দীপাবলি হৃদয়েতে জ্বলে, 
যাক সম্পীতির আলো ;
মন থেকে মুছে  যাক আবিলতা 
যত গ্লানি যত কালো।

বর্ণালী - পরেশ চন্দ্র দাস ।




অমাবস্যার অন্ধকারাচ্ছন্ন শ্যামা মূর্তি-
বর্ণালীর ছটায় দৃশ্যমান ।
কুহকজাল কেটে নিভৃতে দন্ডায়মান
হইয়া—মাতৃবন্দনার অমোঘ আস্ফালন ।
প্রতিফলন প্রতিসরণের খেলায় জগৎ
- বাসী মেতেছে ,স্পিরিচুয়াল বৈভব
গা- মুচড়ে দ্বীপদানে পূজিত হচ্ছে
তমশা।  প্রগাঢ়  তিমির  নেশা নর খাদকদের নিশানা বৃত্ত । মাতৃআরাধনায় সংস্কারে পরিনীত
ছিল,আছে,থাকবে । মৃনাল কুঞ্জে
পদ যুগল  বন্দির ভক্তিমিশ্রিত ছলনা
সর্বজন বিদিত । 
মূক হয়ে প্রহর গুনবার পালায় বর্ণালী পাহারা দেয় গোটা রজনী ।
তন্দ্রাচ্ছন্ন  স্বপ্নে ভেসে ওঠে ভৈরবীর 
শোষক-শোষিতের গীতমালা ।