Tuesday, 22 June 2021

মেঘে ঢাকা তারা – স্বপন গায়েন

 



মেঘে ঢাকা তারাদের মতো মানুষের জীবনমেঘে ঢেকে গেছে
গন্ধহীন বিবর্ণ ফুলের মতো অসহায় জীবন
মুক্তির পথ হারিয়ে ফেলেছে বিপন্ন সময়েরকাছে


ঘলা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে কবেউঠবে সোনালী রোদ্দুর

ভালোবাসার উঠোন ডুবে গেছে অচিনজ্যোৎস্নায়
মেঘের জীবনে লুকোচুরি খেলা চলে আজীবন


সুখ হারিয়ে গেছে হৃদয়ের অলিন্দ থেকে-

ভারী বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতের শব্দ মানুষকেঅসহায় করে তুলেছে
মাঠগুলো ডুবে গেছে বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে


ডুবে যাচ্ছে ফসলের মাঠসুখ ভেসেছেঅন্ধকারেভা

ঙাচোরা মনের খবর 'জন রাখে -

মেঘে ঢাকা জীবন কতদিন চলবে কেউ জানেনা


পাথর চাপা হৃদয় বড় কষ্টে আছে ...

ভোরের আলোতে কোনো খুশির আছে কীমানুষ বাঁচে আশায়
সত্যি জীবনের গল্প বডই দুঃখেরবিবর্ণমানুষের অলিখিত বর্ণমালা

পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম - অমিত কুমার জানা





ঠিক যেমন কারখানা থেকে 
নব নব ধাতুর উৎপত্তি আকরিক হতে,
তেমনই পিতৃসত্তা সঞ্চারিত হয়, তার ঔরসজাত অপত্যে।
তার বৈশিষ্ট‍্যাবলী প্রবহমান
জনু থেকে জনুতে,
কোনটা প্রচ্ছন্ন থাকে 
আবার কোনটা প্রকট হয়ে ওঠে।

সে পরম সুখ লভে সন্তান-সন্ততির লালনে
তারাও পার করে সাবালকতার সীমারেখা একদিন,
পূর্বসূরি ছেড়ে যায় ইহলোক
তবুও ভাবী পিতৃপুরুষ ব্যতীত জনুঃক্রমের প্রবাহভার হয় বিলীন।

বাবাদের কিছু গুণ - ডাঃ অসিত কুমার সরকার


বাবাদের জামা কাপড় গুলো বেশির ভাগ সময় মা -  দের শাড়ী থেকে দামী হয়না। বাবাদের আলমারিতে ভর্তি জামাকাপড় থাকে না। বাবাদের জুতা চলে বছরের পর বছর। যতোখন না জুতার শুকতলা শেষ না হয়। মোবাইল টা একবারে খারাপ না হওয়া অবদি, বদলান না। ঘড়ি টা বৃদ্ধ হয়, তবুও হাতেই থাকে। একা খেতে গেলে সবচাইতে সস্তা হোটেল খোঁজে। একা কোথাও গেলে লোকাল বাসে চড়ে যায়। রোদ, বৃষ্টি, ঝড়, মাথায় নিয়ে পরিবারের জন্য সনচয় করে। বউ, সন্তান কে সবচেয়ে দামী জিনিস গুলো কিনে দেয়। বাবারা একান্ত বাধ্য না হলে, কখনো না বলে না। নিজের জন্য সবচেয়ে কৃপণ, বাবারা তার সন্তানদের জন্য সবচেয়ে বেহিসাবি। বেশির ভাগ বাবাই ভালোবাসি শব্দ বলতে জানে না, করতে জানে। তারা আজীবন তাদের ভাগের বিলাসিতার ভাগ দিয়ে, বউ, সন্তান কে ভালোবেসে যায়। পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ পুরুষ আছে, অসংখ্য খারাপ জন্মদাতা ও আছে, কিন্তু একটা খারাপ বাবা নেই। বাবা  মানে তো আড়ালে আদর সামনে অনেক রাগ। বাবা মানে তো সবসময় চায় সন্তান এর জয়।

# ঘোষপাড়া বালুরঘাট সাউথ দিনাজপুর 

পিতা- ঋজু




হৃদয়ে গভীর ক্ষত -মুখে হাসি তবু
নিরন্তর সমাজের জ্বালা একা দেহে লয়ে
কর্তব্যের ভারে হার মানেনি সে কভু
সদা, গাল ভরা হাসি তার -শত জ্বালা শয়ে;

অতিবাহিত দিন -এক মুঠো গ্রাসে
অম্বল এর অভিনয় -খুব অনায়াসে
ক্লান্ত শরীরে বলে আমি আছি ওরে
এনে দেবো সর্বসুখ তোদের এই ঘরে ।

লুকিয়ে রাজকীয় সাজ -পরনে ধুলো জামা
তাঁর মনের সাজে, সাজে নিজের প্রেমের প্রিয়তমা;
তবুও শোনেন গঞ্জন তিনি -মুরোদ নেই তার
দেয়নি কেন আজও অব্দি -একটিও মনিহার!!

ওরা কি কখনো বুঝবে ব্যথা কর্দমাক্ত হাতের?
একা প্রহরীর জাগতে রহো ধ্বনিটির ওই রাতের??
তার আঁধার ভেঙে ছিনিয়ে আনা সুখের চাবিকাঠি
রাতের শেষে যা নিয়ে করে পরিবার পরিপাটি।

তোমরা কি বুঝবে ব্যাথা বন্ধ ঘরে তার?
লোকচক্ষুর অন্তরালে কান্নার ডংকার!!
না পাওয়া তার বাসনা গুলি আজও গুমরে বলে
অপূর্ণতা হাসতে দেখো তোমার ছেলের গালে।

তাই, ধন্য পিতা ধন্য ত্যাগী তুমি আমার স্বর্গ
তোমার চরণে অর্পণ করি  শ্রদ্ধাভরে অর্ঘ্য ।।