Sunday, 21 February 2021

গোবিন্দ সরকার

কবি পরিচিতি 

গোবিন্দ সরকারঃ -জন্ম ১৯৯৫ সালের ৭ই নভেম্বর নিতান্তই এক কৃষক পরিবারে।জন্মস্থান ও বসবাস দঃ দিনাজপুরের কুশমন্ডির এক প্রত্যন্তর গ্রাম সরলায়।পিতা শ্রী নির্মল সরকার একজন ক্ষুদ্র কৃষক এবং মাতা শ্রীমতি বেজোবালা সরকার একজন গৃহকর্ত্রী।স্কুল জীবন সরলা বি.এন.এস. উচ্চবিদ্যালয় ও আমিনপুর উচ্চবিদ্যালয়ে অত্যন্ত মেধা ও সাফল্যের সঙ্গে কেটেছে।তারপর গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বুনিয়াদপুর মহাবিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে স্নাতক।পরবর্তীতে নেতাজি সুভাষ ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর।

বর্তমান পেশায় শিক্ষক।২০১৭ সালে মিঠাপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে প্রথম যোগদান।

ছোট থেকেই কবিতার প্রতি নিবিড় ঝোক সাহিত্য অনুরাগী করে তোলে।মূলত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের টানেই ছোট পত্রিকার মধ্য দিয়ে সাহিত্যে হাতে খড়ি।প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে "নবপ্রয়াস পত্রিকা"য়।তারপর যথাক্রমে 'শব্দসাঁকো', 'স্পর্শ', 'সাতকাহন', 'প্রাঙ্গন', '৯ নং সাহিত্যপাড়া লেন', 'অক্ষর সংলাপ', 'ইলশেগুঁড়ি', 'বর্তিকা', 'সোনাঝুরি' প্রভৃতি পত্রপত্রিকা এমনকি বাংলাদেশের দৈনিক কাগজ "শিল্প সাহিত্য"-এও নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হয়।প্রকাশিত সংকলনের মধ্যে "দিগন্তে ক্যানভাস", "নবারূষ"(নবপ্রয়াস পত্রিকা গোষ্ঠী),এবং "৬-এ ছক্কা"(অন্বেষা প্রকাশনি)।প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ "ডায়েরির পরীরা" ২০১৯ সালে অন্বেষা প্রকাশনি থেকে প্রকাশিত হয়।

সৌম্য ঘোষ



    কবি ও প্রাবন্ধিক পরিচিতি 
 

কবি ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক সৌম্য ঘোষ সাম্প্রতিক বাংলা পত্র-পত্রিকার জগতে বিশিষ্ট নাম। লিখেছেন অসংখ্য প্রবন্ধ, কবিতা। লিখছেন। গবেষণা ঋদ্ধ, মননশীল, তত্ত্ব ও তথ্যনির্ভর প্রবন্ধ। ব্যক্তিগত জীবনে আত্মমুখী, প্রচার বিমুখ, নির্জনতা- প্রিয়, সৎ, ভাবুক এই কবি। যার প্রহর কাটে শব্দব্রহ্মের জগতে । নিবিড় অনুধ্যানে, অধ্যায়নে। 
কবি প্রাবন্ধিক সৌম্য ঘোষের পিতা ৺বলরাম ঘোষ এবং মাতা ৺প্রতিমা ঘোষ। ঠাকুরমা ৺প্রভাবতী দেবী সাংসারিক কাজের মধ্যে থেকেও স্বাভাবিক প্রতিভায় ছড়া তৈরি করতে পারতেন । মাতামহ ৺অমূল্যকৃষ্ণ চন্দ ছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সরকারি ডাক্তার। Captain rank. স্বাধীনতা আন্দোলন কালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আহবানে সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগ করে রেঙ্গুন চলে যান এবং নেতাজির সহযোগী হয়ে নেতাজি প্রতিষ্ঠিত I.N.A. এর চিকিৎসক-সৈনিক হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের সশস্ত্র লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে বসিরহাট শহরে বসবাস করেন।
 অধ্যাপক সৌম্য ঘোষ পেশায় শিক্ষক। উত্তর 24 পরগনার নৈহাটি শহরের ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজের অধ্যাপক। আদি বাড়ি উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট মহাকুমায় শ্রীশ্রী স্বামী ব্রহ্মানন্দজী রাজামহারাজের জন্মধন্য পুণ্যতোয়া ভূমি শিকরা কুলীন গ্রাম । 
বর্তমানে অধ্যাপক ঘোষ হুগলি জেলার সদর ঐতিহাসিক শহর চুঁচুড়ায় স্ত্রী ( জ্যোৎস্না ঘোষ ) এবং একমাত্র পুত্র (সায়ক ঘোষ ) সহ নিজস্ব বাড়িতে বসবাস করেন। স্থানীয় অঞ্চলের সর্বজন শ্রদ্ধেয়, জনপ্রিয় এবং নির্বিবাদী লেখক ঈশ্বর বিশ্বাসী। বেলুড় মঠের দীক্ষায় দীক্ষিত। তিনি বিশ্বাস করেন, " সাহিত্য সেবার মধ্যে ঈশ্বর সাধনা।" জীবজন্তুর প্রতি তাঁর অগাধ প্রেম। শুধু দেশে নয়, অস্ট্রেলিয়া লন্ডন ঢাকাসহ বিদেশেও তাঁর লেখা মর্যাদার সাথে প্রকাশিত হয়। তিনি একাধিক পত্রিকার সম্পাদনের সঙ্গে যুক্ত।।



জয়ন্ত আচার্য

কবি-লেখক পরিচিতি

জন্ম ১৯৭৬ সালের ১৬ ই জুন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নয়াবাজারে। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর এবং বর্তমানে ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত । সৃজনশীল ও বিশ্লেষণাত্মক দু'ধরনের লেখাতেই পারদর্শী । ফিচার, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা প্রকাশিত হয়ে চলেছে বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্র ও অন্যান্য পত্র পত্রিকায় । ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা বিষয়ে দৈনিক সংবাদপত্রে লিখে থাকেন ।ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন । যুক্ত আছেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও।
শিক্ষক হিসেবে ২০১৩ সালে পেয়েছেন "পারুল শিক্ষা সম্মান"। ২০১৬ সালে যুব উৎসবে প্রবন্ধ রচনায় রাজ্যে প্রথম হয়ে জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন । সাহিত্যকর্মের জন্য পেয়েছেন "কালকণ্ঠ সাহিত্য সম্মান" এবং "মোহিনী " "মেঠোপথ" "সচেতনা" প্রভৃতি পত্রিকার পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা ।

কণিকা রায় : জীবনপঞ্জী


আমি কনিকা রায়। প্রথমতো আমি একজন গৃহবধূ। ছোটো থেকে অনেক কষ্ট করে মানুষ হয়েছি । আমার বাবার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল ।তাই আর দশ জনের মতো করে বড়ো হতে পাড়িনি কখনো।ছোটো থেকেই আমার পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে নাচ , গান, আবৃত্তি করতে খুব ভালো লাগতো।আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারনে একজন গুরু পাইনি কখনো।অনেক কষ্টে আমার মা এক গানের শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলে আমায় গানটা শিখিয়েছে।আমি জীবনের ঐ কষ্টের দিন গুলোতে কখনো নিজেকে দূরবল ভাবিনি ।নিজের মতো করে নিজের ভালো লাগা গুলোকে রাঙিয়ে তুলেছি একটু একটু করে।
সকলের ভালোবাসা আর আর্শীবাদে এখন  আমি একজন আবৃত্তি শিক্ষিকা তত্সহ আমি কবিতা , গল্প, হাতের নানারকম কাজ করি, গান নিখি এবং নিজের গানে সুর দেয়। আমার  দুটি কবিতা ,একটি গল্প ,তুলি কলমের আকাশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।উপকন্ঠ,নিরিবিলি,কাব্যপট সাহিত্য পত্রিকায় অনেক গুলো কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের কলম বইটিতে ও আরো কিছু বইয়ে আমার  লিখা স্থান পেয়েছে। NEW24 বাংলা তে ও আমার লিখা কবিতা গল্প প্রকাশিত হয়েছে।   আমি বাড়িতে এবং একটি প্রাইভেট স্কুলে আবৃত্তি শেখায়। সংসার সামলে এসব করে এখন আমি খুব সুখি।

তপন, দক্ষিণ দিনাজপুর।।