নিবাসঃ গ্রাম + পোষ্ট - কামারতোর, থানা - করনদিঘী, ছোটো বেলা থেকেই মামার বাড়ি(বুধরা) থেকে বড় হয়ে ওঠা। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে, পরিবারের বড় তথা বংশের বড় তথা মামাদের একমাত্র আদরের ভাগ্না। পরিবারের পাঁচজন সদস্য, মা-বাবা, দুই বোন আর আমি। বাবা (কমল সিংহ) কর্ম সূত্রে রাজমিস্ত্রি, মা (দুলালী সিংহ) গৃহিনী। ছোটো বেলা থেকেই মামার গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ, তারপর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক করনদিঘী উচ্চতর বিদ্যালয়ে। স্নাতক ডিগ্রি লাভ ইতিহাস বিভাগ নিয়ে রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয় থেকে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ রায়গঞ্জ বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে।
আমার সাহিত্য জগতে আসা বন্ধু বিজয় সরকার (ভয়েস সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনেরব সম্পাদক) , ভাই রাজিব বালা(সহ-সম্পাদক মা সাহিত্য পত্রিকা), সর্বপরী অধ্যাপক সুকুমার বাড়ই ( মেঘনাথ মহাবিদ্যালয়, বিভাগীয় প্রধান, ইতিহাস বিভাগ ) উনাদের প্রত্যেক কে অসংখ্য ধন্যবাদ ও অনুপ্রেরণা সর্বদা পাথেয়। আমি কবি নই তবে লিখার চেষ্টা করে থাকি। যোগাযোগঃ 9800182523 / 7001739316
email -golapsingha35@gmail.com
--------------------------------------------
আমার ভারত তুমি আজও পরাধীন
আমার ভারত আজও পরাধীন,
লোকে বলে আমার দেশ হয়েছে স্বাধীন।
কিন্তু আমি বলি মোরা
স্বাধীনতা তো এখনো পাইনি।
যে দেশ এখনো দারিদ্রতায় যুক্ত, হীনমন্যতায় ভুক্ত,
সে দেশ নাকি দাবি করে আমি মুক্ত।
যেখানে শিক্ষক মহাশয় হয় অপমান,
যেখানে কৃষক পায় না খাদ্যের ন্যায্য দাম,
যে সীমানায় সেনারা দেয় আজও আত্ম বলিদান,
বঞ্চিত নারী আজও যেখানে
পায় নি নিজের মর্যাদা ও অধিকার,
সে দেশ দাবি করে বলে
পেয়েছে নাকি স্বাধীনতার স্বাদ।
যেখানে নেই বাক্ স্বাধীনতা,
যেখানে আশি বছরের বৃদ্ধা হয় ধর্ষিতা,
আজকের নারী শিশু নির্যাতনের শিকার--
সে দেশ কেমন করে দাবি করে যে
সে হয়েছে স্বাধীন?
শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতা পেলেই--
হয় নাকো কোনো দেশ স্বাধীন,
স্বদেশ মানবের মননে
জাগবে যখন স্বাধীনতা-
তখনই হবে দেশ প্রকৃত স্বাধীন।
সংবিধান বলে দেখো সকলেই সমান,
বাস্তবের দৃষ্টিতে পাই না তার প্রমান।
সংবিধান বলে এ দেশ ধর্ম নিরপেক্ষ,
তবু কেন বাস্তবে দেখি
ভেদাভেদের দ্বন্দ্ব?
স্বাধীনতা মোরা পেয়েছি শুধু--
কাগজে আর কলমে,
বাস্তবে আমরা আজও পরাধীনতায় জর্জরিত।
বদলেছে শুধু ঝান্ডা, আর বদলেছে সাদা চামড়া,
এখনো ঘুচেনি পরাধীনতা?
নেতাজি-গান্ধিজি-আজাদ-ভগৎ-ক্ষুদিরামের স্বপ্নের ভারত....
আজ নোংরা রাজনীতির যাতাকলে পড়ে
হচ্ছে যে নিঃশেষ।
--------------------------------------------------------------
মা
মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা।
আবেগের অনুভূতি,
ভালোবাসার প্রথম ছোঁয়া।
যে ডাকে নেমে আসে পৃথিবীর সবচেয়ে শীতল ছায়া।
মা ডাক টি বড়ই মধুর
থাকুক যতই গ্লানি।
ঘুচে যায় সব কষ্ট, দুঃখ ব্যাথা বেদনা
পাই যখন মায়ের আঁচল খানি।
মায়ের স্নেহ মাটির মতো,
উদারতা তাহার আকাশ।
জলের মতো জীবনদায়ীনি যিনি
মা নাম টি তাহার।।
আমার নিস্বার্থ প্রমিকা যিনি,
বন্ধু সবসময়কার।
শত কষ্ট বাঁধা বিপত্তি আসলেও
ছাড়বে না যে সঙ্গ মোর মা সে আমার।।
আঁচলের যার প্রকৃতির বিরাজ
সেখানে বাস করে সবসময় বসন্ত ঋতুরাজ।
শত কষ্ট হলেও কোনো কাজে না করে না যিনি,
তিনিই আমার অনুপ্রেরনা, আমার মা।।
বাতাসের মতো অমূল্য যিনি,
রাখে সূর্যের চেয়েও বেশি তেজ।
মা ভগবানের দেওয়া শ্রেষ্ট দান,
ধরনীর সমস্ত মা কে শত শত কোটি প্রনাম।
মা নিষ্ঠা ও সহ্যের প্রতীক,
শোধ করা যাবে না যার ঋণ।
যার পায়ের তলে স্বর্গ অধিষ্ঠিত,
মা রূপে তিনি ধরনীতে পূজিত।।k
------------------------------------------------------------------
জাগরিত হোক
ঘনিয়েছে কুলসিত বাতাবরণ,
সৃষ্টি হয়েছে পরিবেশ,
অনেক হয়েছে আর নয়,
জ্বলে উঠুক বিদ্রোহের আগুন।
মুখে নাও বিদ্রোহের বানী,
প্রচার করো প্রতিবাদের সুর,
এবার তুমি জেগে ওঠো নারী,
নিয়ে উলগুলানের সুর।
প্রতিটি প্রহর খুঁজে তোমায়,
ওগো আগামীর বীর,
হে নবীন জাগ্রত হও,
কলুসতা মুক্ত সমাজ গড়ো।
হোক প্রতিবাদ রাস্তায় নেমে
নিয়ে মানবতার বানী,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করো,
ভেদাভেদ ভুলে সবে মিলে-
ঐক্যের জোট গড়ে তোলো
নারী কোনো খেলনা নয়,
বোঝাও নারী তুমি সমাজকে,
নারীরাও যে মানুষ হয়,
প্রচার করো এই মনুষ্যত্বের বানী।
জেগে ওঠো নারী অন্যায়ের বিরুদ্ধে
হয়ে ওঠো ঝাঁসির রানী,
নিজ হাতে দমন করো
মানুষরুপী আছে যত ভন্ড পাষন্ড অত্যাচারী।
----------------------------------------------------------------
No comments:
Post a Comment