কবি পরিচিতি : মনোজ চৌধুরী। বাবার নাম- বিবেক চৌধুরী। বাড়ি নওয়াদা নামক এক ছোট্ট গ্রামে । আমি এক প্রান্তিক পরিবারের ছেলে । মাধ্যমক এবং উচ্চমাধ্যমিক এ ফলাফল ভালো না হলেও বাংলা টাই আমার ছিল প্রিয় । আর আমার মেহনতির কৃতিত্ব বাংলা । উচ্চমাধ্যমিকে বাংলায় 97 আমার এলাকায় কিংবা জেলায় প্রথম ও রাজ্যতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছি । আমার ছোটোকাল থেকেই আর্ট এর খুব ইচ্ছে বিশেষত লেখার উপর । তাই আমি এখনও খুব ভালো আর্ট করতে পারি অথচ খুব ভালোও বাসি। তবে কবিতা,গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস সবই আমার স্বপ্ন ।
আমি সদ্য কলেজের প্রথম বর্ষের বাংলা স্নাতক এর ছাত্র । আমার জীবনে সর্বাধিক স্থান পেয়েছে দুঃখ,বেদনা । আমি স্বচক্ষে জীবনের যন্ত্রনা উপভোগ করেছি। আমার প্রিয় বিষয় - বাংলা । "উত্তপ্ত সূর্যের কিরণের ন্যায় আমার জীবনটা যেন বহে যায়" । বাবা আমার খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ । আমি বাবা,মা আর আমার ঠানদি কে প্রচন্ড ভালোবাসি । আমার জন্ম কাগমারী হাটপাড়া নামক গ্রামে হলেও (05/07/2000) আমি বেশ ঠানদির কাছে নওয়াদা গ্রামেই বড়ো ও লালিতপালিত হয়েছি । শৈশবে আমি পড়াশোনাতে আমার আগ্রহনা থাকলেও প্রায় নবম শ্রেণি থেকেই আমার জ্ঞানচক্ষু উন্মোচিত হয় । আর আমি হঠাৎ কোনো এক ঝড় বাদলের মতো পরিবর্তন লাভ করে আজ হয়তো আমার মা বাবা ঠানদি,সকল মহাশয়, মহাশয়া ও ঈশ্বরের কৃপায় আমি বেশ ভালো এক ছাত্র ও মানুষ ।
--------------------------------------------------------
বিদ্যমান শ্রমিক
হে পরিযায়ী শ্রমিক! বন্দী তুমি
বিদ্যমান পরিস্থিতির বেড়া জালে
হে শ্রমিক! অবহেলিত ,অসহায় তুমি
নিজ আধার হারাইয়া কোথা যাও চলে?
হে উপদ্রুত শ্রমিক! কেন তোমার?
আজ আবছা প্রিয়জনের আকাঙ্ক্ষা
জানি! তোমার হৃদয় আজ নির্বিকার
শুধুই প্রিয়জনের দেখা পাওয়ার অপেক্ষা।
হে শ্রমিক! ইচ্ছা তোমার আজ
আইনের রণরক্তে ধর্ষিত কেন
মাথায় বিরাজমান তোমার কষ্টের বাজ
আনন্দময়তা,সুখ বিসর্জন দিয়েছো যেন।
হে ক্ষুধার্ত শ্রমিক! নেই আত্মতুষ্টি
বিলিন আজ তোমাদের মেহনতির ফল
রক্তের অশ্রুসলিলের মতো ঝড়ছে বৃষ্টি
হারিয়েছে যেন তাদের মানব-শরীর আদল।
হে অস্থায়ী শ্রমিক! নেই তোমাদের
মনের বেদনা ভাজ্য করিবার শরণ
প্লাবিত তুমি যেন কাছে আমাদের
নিভে গিয়েছে সর্ব শান্তির আত্তীকরণ।
হে শ্রমিক মজদুর! সর্ব সর্বস্ব আকিঞ্চন
রয়েছো তোমরা পরিস্থিতির ঘরে বন্দী
ছড়ানো রয়েছে তোমাদের মণি স্বপ্ন
প্রতিক্ষন শুধুই গৃহে ফেরার জলদী।
হে বিদ্যমান শ্রমিক! করেছে বরণ
তোমাদের কোন পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য?
নাকি এটা তোমাদের ভাগ্যের কারণ
যা তোমরা পেয়ে হতে পারো স্বল্পটুকুও ধন্য।
---------------------------------------------------------
ভগবান তুমি কোথায়
হে ভগবান!আছো তুমি কোথায়?
খুঁজে বেড়াচ্ছি যেন যেথায় সেথায়
মন্দির,মসজিদ,গির্জা সব জায়গা যায়
তবু পায়না কেন দেখিতে তোমায়?
খুঁজি তোমায় সারা বেলা
ভগবান তুমি;
করছো কেন আমার সনে খেলা
দিচ্ছো কী তুমি মানুষের মনে দোলা?
তবে কেন লাগিয়ে রেখেছো এই
মানুষের মেলা ।
নেই তুমি আকাশে বাতাসে
নেই তুমি মাধবী, পলাশে
তবে কি আছো? মোদের নিঃশ্বাসে
না শুধুই আটকে রেখেছো বিশ্বাসে
।
না আছো তুমি নদীর কিনারে
না আছো তুমি ঘরে ঘরে
তুমি কোথায়?
তবে কী গেছো কোথায় সরে ?
নাকি আছো হৃদয় জুড়ে ।
না দেখিতে পায় দিনেতে
না পায় রাত্রিতে,
না পায় স্থলে,
না দেখিতে পায় জলেতে ।
যদি হঠাৎ বিরাজমান হও
তবে কী পারিবে ?
মানুষ তোমায় চিনতে !
ভগবান তুমি কোথায়?
আছো কি প্রতিটি মানুষের
মনে মনে
নাকি আছো শুধুই একজনে ?
কিন্তু!
আমরা প্রত্যেকেই তো করি
তোমার পূজা অর্চনা চরণে,
সকলেই রাখি স্মরণে ।
হে ভগবান তুমি কোথায়??
***ভগবান সর্বদায় মনমাঝে
বিরাজমান***
------------------------------------------------------------
বাবা-মা
'মা-বাবা'র করলে অযত্ন
বুঝবে;
'মা-বাবা'ই ছিল অমূল্য রত্ন ।
বাবা-মা হারালে ফিরে আসবে না
দ্বিতীয়বার
তাই আমি বলছি বারবার ।
'মা-বাবা' হয় শ্রেষ্ঠ ভগবান
সমস্ত পাপ দূরীভূত হয় তাদের ছুলে চরণ ।
বাবা-মায়ের চরণ ছুয়ে দেখো একটিবার
বলছি আমি বারংবার ।
মা-বাবাকে বাসলে ভালো
ভবিষ্যৎ হবে তোমার উজ্জ্বল আলো ।
'বাবা-মা'কে ভালোবাসো শতকোটিবার
তাই আমি বলছি আবার ।
মা-বাবা'র কথা রাখলে হবে
চিরসুখী
অমান্য করলে হবে সর্বদায় দুখী ।
কথা শোনো সর্ব মা-বাবা'র
তাই আমি বলছি হাজারবার ।
মা-বাবা'কে রাখো সর্বক্ষণ খুশি
তাই তো বলি;
বাবা-মা হল পরমেশ্বর-পরমেশ্বরী ।
-------------------------------------------------------------
No comments:
Post a Comment