কবিতা
--------
কবি পরিচিতি : সপ্তশ্রী কর্মকারের জন্ম ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে শান্তিরবাজার দক্ষিন ত্রিপুরায়। তার পিতা শঙ্কর কর্মকার ও
মাতা ছন্দা কর্মকার
শারীরবিদ্যা( বিজ্ঞান) বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
এখন শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত।
অবসর সময়ে সাহিত্য তার সঙ্গী আর রান্না করা, ভাষ্যপাঠ করা। ভবিষ্যতে সাহিত্য চর্চা ও আরও উচ্চত্র পড়াশোনা নিয়ে এগিয়ে যেতে চান জীবিনে।
---------------------------------------------------------
বিদ্রোহীর আত্মক
নিয়মের কলকাঠি নেড়ে আসে যখন ধুমকেতু,
তখন আঁধারের নয়নপাতে গড়ে বাঁধ অগ্নিসেতু।
দুর্নিবার ঝড়ে দুর্জয়ের শিরে,
উড়িয়ে বিজয়ের জয় কীর্তন।
বিদ্রোহীর শিরোপায় অট্ট হাসির রোলে যখন বলে,
মনের অট্টালিকার গুপ্তসঞ্চারীর রুদ্ধ ক্রন্দনধ্বনি পাও না ।
তোমার স্তব্ধ লেখনীর কলম কত লগ্ন বৃথা চলে যায়,
আমরা তব অপেক্ষায় চেয়ে আছি ঘুচুক দূরাশায় ।
লেখনীতে ইতিহাস বিবরণ দিয়েছেন মার্কিন কবি ল্যাংস্টন হাউজ,
আর রক্ত প্রতিবাদী কথামালা লিখছেন ইভান্স।
বিষের বাঁশীর কবির গানের তীব্র আঘাতে
ওঠো সবে জাগি,
অগ্নিবীণা ঝংকারে বিশ্ব দরবারে অকন্ঠিত ব্যথিত জনের জাগি।
তোমার কবিতার নগ্নতায় দেখেছেন নিজেদের সূর্যোদয়,
তাই তুমি দিলে বাংলার বুকে সে শক্তির শৌর্য লোহিত সাহস।”
-------------------------------------
দহন
স্রষ্টার দেওয়া বচন নিলো নিষ্কৃতি,
ভাষারাও আজ অবলুপ্ত।
শূন্যতা নিয়ে হৃদয়হারা বুকে,
দাঁড়িয়ে আমি একলা অচিনপুরে।
নামধেয় কল্পনারাও আজ অদৃশ্য,
তাই নিষ্পলক দৃষ্টে তাকিয়ে আকাশপানে।
দিকচক্রের বিষন্নরা করছে রাজত্ব,
আমাদের স্বপ্নের রাজমহলে।
প্রতিক্ষণে না পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায়,
দীর্ঘ নিঃশ্বাসে শুধু তোমার উপস্থিতি।
নিঝুম দুপুরের হাহাকার বাতাসে,
শুধু আমার অসহ্য দহন জ্বালা।
বকুল তলায় একলা বসে গাঁথি,
তোমার নামের প্রেম মালা।
অনুগল্পের প্রতি লাইনে আজও খুঁজি,
তোমার নামের গল্প চরিত্র।
বাস্তবের রুঢ চক্ষুতে থামছে না অশ্রু বন্যা,
তেপান্তরের মাঠে শুধু স্পর্শহীন যন্ত্রনা।
নীলিমার গন্তব্যের আকাশে রোজ তারা উঠে,
নিয়মের বেড়াজালে তাই নক্ষত্র খসে।
জীবনের অবিচ্ছেদ্য রঙিন অংশে,
তাই স্মৃতির অ্যালবামে বিবর্ণ আমি।
তোমায় ছাড়া আমার জীবন বড্ড অগোছালো,
সফল জীবনের সব রং গেছে মুছে।
-------------------------------------------------------
No comments:
Post a Comment