Wednesday, 29 July 2020

কবিতা : বৃষ্টি কংসবনিক

কবি পরিচিতি : আমি বৃষ্টি কংসবনিক, ১৯৯৭ সালের ১৭ই এপ্রিল একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম, পিতা চঞ্চল কংসবনিক ও মাতা গৌরী কংসবনিক|। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দত্তপুকুর নিবাসী| আমার শিক্ষা জীবনের সূচনা হয়  গঙ্গাপুর শিবমনি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে, এরপর কাশিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও কাশিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হই(২০১৪)| তারপর  বারাসাত গভর্নমেন্ট  কলেজ থেকে ইতিহাস বিভাগে স্নাতক (২০১৭), বর্তমানে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইতিহাসে এম.এ পড়ছি (ডিস্টেন্স )|


 অবসরে ভালোলাগে মনের মাঝে  জমে থাকা কথাকে কলমে তুলে ধরতে, তবে তা গল্প কিংবা কবিতার রূপ নেয় কিনা জানিনা| সদ্য লিখছি বলা যেতে পারে, এইভাবেই কলমকে সঙ্গী করে মনের ভাষাকে প্রকাশ্যে তুলে ধরে জীবনের লক্ষ্যে  এগিয়ে যেতে চাই |

-----------------------------------------------------------

শ্রদ্ধেয় রবি

শ্রদ্ধেয় রবি, আমার এই ক্ষুদ্র কলমে 
তোমায় রচার সাধ্য নেই, 
আমি যে তোমার কবিতার সেই
"সাধারণ মেয়ে" |
তবে জান আমার এই তেইশ বছরের কাব্যে, 
তোমার অবাধ বিচরণ, আমারই অলক্ষ্যে|

যদিও তোমার লেখনি আস্বাদনে
আজও আমি সম্পূর্ণা হতে পারিনি,   
 আমি হয়তো তোমার "তোতাকাহিনীর"
সেই মূর্খ পাখিটি |

 জানো রবি কাল যখন তোমার "নষ্টনীড়" শেষ করি, 
তখন প্রায় মাঝ রাত
 তোমার চারুর লেখা "আমাবস্যার আলোয়" পূর্ণিমাকে  ভৎসনা
আকর্ষিত করেছে আমায় , 
সেই অতলস্পর্শ অন্ধকারের মত আমিও যে অপ্রকাশিত|

তোমার "নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ" 
আমার যে ভীষণ প্রিয়,, 
আমার পায়ে যে সেই পাষাণ করার বেরি, 
যতবার বলি ভাঙ -ভাঙ- ভাঙ করা...
রুখতে নাহি পারি |

 তোমার "শেষের কবিতার" লাবণ্য
 আমায় বিমুর্ত করেছে বারবার...
 যদিও আমার চরিত্রে তাকে ছুঁতে পারিনি কখনো, 
 "রক্তকরবীর" তোমার সেই অনন্য সৃষ্টি_  যে ছিল সকলের নজর কড়া,, 
 আমি সেই নন্দিনি হতে চাইনি |

তবে জান রবি...
তোমার গানে পেয়েছি
একলা চলার নির্ভীকতা, 
জীবন মরুতে তোমার "মৃত্যুঞ্জয়"
আমার সাহারা,, 
আমার এই ক্ষুদ্র কলমে আজও তুমি  অধরা ||

--------------------------------------------------------------

পথের শিশু


পথের শিশু তকমা আমার
পথেই আমার ঘর , 
নেইকো আমার কোনো আপনজন 
সবাই আমার পর |
ভিক্ষার ঝোলা হাতে নিয়ে 
ফিরি দ্বারে দ্বারে --
আমার ব্যাথা কেউ বোঝেনা, 
জঞ্জাল মনে করে |
চাই না আমার রঙিন বেলুন
নানান রকম খেলনা, 
চাই যে শুধু অন্ন পেতে
তাও যে রোজ মেলেনা |
রোজ সকালে খিদের জ্বালায়
আমি যখন অবহেলায়, 
তোমার ঘরের শিশুরা সব 
পাঠশালাতে যায় |
সকাল শেষে তপ্ত দুপুর 
সূর্য যখন মাথার উপর, 
ব্যাস্ত সবাই খাবার খেতে 
আমি বেড়াই পথে পথে |
দিনের শেষে খেলার মাঠে 
তোমার শিশু আনন্দেতে, 
আমি তাকাই অবাক চোখে !
 অশ্রু লুকাই আড়াল হতে|
 শহর জুড়ে গভীর রাতে 
 শিশুরা সব ঘুমে মাতে, 
আমি কেবল একলা জাগি 
 চাঁদ,তারা যে আমার সাথী|
আমারও আছে একটা হৃদয়
 অভিমান সে তো আমারও হয়, 
হে বিধাতা জন্ম যখন দিলে
 পরিচয়টা কেন কেড়ে নিলে |


------------------------------------------------------------

No comments:

Post a Comment