জন্ম: ১৬ই সেপ্টেম্বর,১৯৬১।
নিবাস: হুগলী জেলার চন্দননগরে।
পেশা: শিক্ষকta (উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে)।
সাহিত্য জগতে প্রবেশ: হাতে খড়ি স্কুল,কলেজের ম্যাগাজিনে, কলেজের দেওয়াল পত্রিকায়।
তারপর অনুরোধে বিভিন্ন পত্র, পত্রিকায়।
এখন লেখা শুধু মনের টানে।
-------------------------------------------------------------------
কি হবে এদের?
মুড়ির প্যাকেটটা হাত থেকে চিলের মত ছোঁ মেরে নিয়ে ছুট দিলো ছেলেটা-পরণে যার শুধুমাত্র একখানা ছেঁড়া হাফপ্যান্ট।
আমিও ছুটলাম তার পিছনে কারণ বাড়ীতে মুড়ি না থাকায় মুড়ি আনতে গিয়ে বাজার হাহাকার ঐ একখানিই প্যাকেট দোকানের লুকানো কোণ থেকে আমায় বের করে দিয়েছিল মুদী দোকানী-বহু বছর ধরে মাসকাবারি খদ্দের থাকার সুবাদে।
কেড়ে নিতে যাচ্ছিলাম ছেলেটার হাত থেকে প্যাকেটটা। তখনই আঙুল তুলে সে একটু দূরের দিকে দেখালো অসহায় কাকুতি ভরা চোখে।
থমকালাম- দেখলাম
সি.এম.ডি.র বড় মোটা পাইপের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা হাত জোড় করা আর ও কয়েক জোড়া মিনতি ভরা চোখ।
--------------------------------------------------------------
জল পরীদের ডানায় সুখ
একটা লালচে আভার হলুদ আলো দূর থেকে দেখে
সেই দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো আবদুল।
আবদুল মিঞা এ তল্লাটে নতুন এসেছে তার দেশ গাঁ থেকে। রোজ রাত থাকতেই মাছ ধরতে বের হয় তার জেলে ডিঙিটা নিয়ে। ঝোপের আড়ালে সে ঠিক ঠাওর করতে পারছে না আলোটা কোথা থেকে আসছে।
অন্ধকার হাতড়ে যেখানে গিয়ে সে পৌঁছালো সেটাও একটা নৌকা।তবে একটা নয়,পরপর কয়েকটি নৌকা ভাসছে জলে।
প্রতি টা নৌকায় হ্যারিকেন জ্বলছে ছৈ এর ভিতর আর প্রথম নৌকার হ্যারিকেন টা বাইরে টাঙানো নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য।
নৌকা গুলোর কাছে যেতেই
প্রতিটি নৌকা থেকে ভেসে এলো সুখের শব্দ।
আব্দুল মিঞার বুঝতে দেরী হলো না কোথায়
এসে পড়েছে সে।
ঠিক তখনই তাকে ডেকে একজন বলল-
সুখ নেবে গো?
----------------------------------------------------------------
No comments:
Post a Comment