Wednesday, 29 July 2020

কবিতা : অর্পন বসাক



কবি পরিচিতি : জন্ম- ১৯৯৭ সালে ১লা মার্চ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ছোট্ট গ্রাম বোয়ালদহে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ।পিতা-বানেশ্বর বসাক।মাতা-কাকলী বসাক। শৈশবে মাসির কাছে বর্ণ পরিচয় ।

 তারপর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম প্রথাগত শিক্ষা।মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের দিন কেটেছে ঠেঙ্গাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে।গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ দেওয়ান আব্দুল গণি কলেজ থেকে ভূগোলে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে। গঙ্গারামপুর বি. এড কলেজ থেকে বি. এড ডিগ্রি। প্রিয় শিক্ষক ও বন্ধুদের অনুপ্রেরণায় কলেজ জীবনে প্রথম লেখার সূত্রপাত।ফেসবুকে নিয়মিত লেখালেখি করলেও পরিবেশ বন্ধু পত্রিকায় 'ত্রিকোণ প্রেম' কবিতার মধ্য দিয়ে প্রথম আত্মপ্রকাশ।বর্তমান সমাজের সমসাময়িক পরিস্থিতির চিত্র,বোবা ভালোবাসার নতুন দিশা ও নদী ,পাহাড় ,জঙ্গল এই অপরূপ প্রকৃতির না বলে উঠতে পারা উচ্চারণই হয়ে উঠেছে এই কলমের বিষয়বস্তু।

-------------------------------------

একটা ভারতবর্ষ হাঁটছে

ভারতবর্ষের মানচিত্র বরাবর আরো একটা ভবিষ্যতের ভারত হেঁটে চলেছে।
হেঁটেই চলেছে।


বাড়ি ফেরার লক্ষে এ রাজ্য থেকে সে রাজ্য ওরা হাঁটছে।শুধুমাত্র ঘরে ফিরবে বলে ভারতবর্ষের বুক চিরে ওরা করে নিয়েছে ঘরে ফেরার পথ।আর সেই পথের ধারে প্রতিটি মাইলস্টোনে বড় বড় হরফে লেখা "ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু.."

 না! এই পথ শুধু পিচের তৈরি কালো পথ নয়।যেখানে দাঁড়ালে আপনি চেঁচিয়ে দার করান হলুদ ট্যাক্সি কে।কিংবা যে পথে আপনি সিগন্যাল ভেঙে চলে গেলেও ট্রাফিকের কড়া নজর আপনাকে ছাড়েনি,না! এপথ তেমন না।

এখানে কোনো ট্যাক্সি নেই, রাস্তার পাশে হকার এই গরমে আইসক্রিম নিয়ে নেই,সিগন্যালে কোনো জ্যাম নেই।গোটা পথ জুড়ে শুধু ওদের ঘরে ফেরার সবুজ সিগন্যাল।

ভারতবর্ষের মানচিত্র বরাবার একটা ভবিষ্যতের ভারতবর্ষ হাঁটছে।হেঁটেই চলেছে....।
একশো ত্রিশ কোটি মানুষের ভারতবর্ষের বুকের ওপর দিয়ে সুটকেসে একটা ভবিষ্যতের ভারতকে শুইয়ে  দড়ি ধরে স্বয়ং  ভারতমাতা নিজে টেনে নিয়ে যাচ্ছে মন্দিরের দিকে,মসজিদের দিকে,গির্জার দিকে, গুরুদুয়ারার দিকে।

আরো একটা ভারতমাতা পথ হাটতে হাটতে ক্লান্ত হয়ে প্রসব যন্ত্রনা না সহ্য করতে পেরে, নতুন ভারতবর্ষের জন্ম দিচ্ছে রেল লাইনের ধরে।
হম...সেখানেই,যেখানে কয়েকটা শুকনো রুটি পরেছিল।সেখানেই,যেখানে রেললাইনের পাতের সাথে ছোপ ছোপ রক্তের দাগে আরো একটা ঘরে ফেরার লড়াইয়ের ইতিহাস লেখা হলো কদিন আগেই।

আরো একটা ভারতবর্ষের নতুন জন্ম হবে বলে, ভারতবর্ষের মানচিত্র বরাবর হায়দ্রাবাদ থেকে মধ্যপ্রদেশ কাঠের খেলনার গাড়ি চেপে কপালে লাল টিপ,পড়নে জীর্ণ বসনে আরো একটা ভারত মাতা এগিয়ে যায় নিজের ঘরের দিকে ।

দিনের পর দিন ফুরোয়।রাত নামে।তুবও পথ হাঁটার শেষ হয়না।বরং রাতের অন্ধকারে ওরা আরো বেশি বেশি করে হাটে।পায়ের নীচে ঠান্ডা পিচের রাস্তা আমাদের ঘুমের বালিশের মতই ওদের কাছে আরামদায়ক।

না হয়না!হয় না।হয় না...।
আমাদের ভারতবর্ষ থেকে করা ফেসবুকের পোস্ট, কিংবা টুইটে  ওদের ভারতবর্ষে ক্লান্তির ছাপ আর খিদের কষ্ট দূর হয় না।

          ওরা আবার বেরিয়ে পড়ে সাইকেল নিয়ে নদীর পাড় ধরে, রেল লাইন ধরে আমাদের আভিজাত্যকে পায়ের তলায় মারিয়ে চলে যায়,বাড়ি ফিরে একটা  মানবিতার নতুন ভারতবর্ষ গড়বে বলে।

     ভারতবর্ষের মানচিত্র বরাবর হাটতে হাঁটতে ওরা একদিন ঘরে পৌঁছে যাবে ঠিকই। ঠিক তখন আমাদের ভারতবর্ষে ওরা আর কোনোদিন পা মারাবে না।তৈরি করবে না আপনার ঝাঁ চকচকে প্রাসাদ।কয়লা ঢেলে দেবে না আপনার কারখানায়।কোদাল ধরবে না আপনার সাধের বাগান বাড়িতে।শক্ত হাতুড়ি আর ভাঙবে না কালো সভ্যতার ইট।তৈরি করবে না আপনার হেঁটে যাওয়ার আধুনিক সড়ক পথ।তৈরি করবে না বাস ট্রেনের যন্ত্রাংশ।সেরে দেবে না আপনার জলের ট্যাপ।

 কারণ যে সড়কপথ ওদের বাড়ি ফেরায় না,
যে ট্রেন যে বাস ওদের আজকে পথ হাঁটার সাক্ষী থাকে না,
যে জলের কল ওদের ক্লান্তি তে জল দেয় না,
তাঁদের জন্য মেহনতী হাত গুলো তো একদিন গুটিয়ে আসবেই।আসবেই আসবে।

      আমরা যেভাবে ওদের বয়কট করছি ওরাও ঠিক সেই ভাবেই একদিন আমাদেরও বয়কট করবে।সেদিন কলম ছেড়ে কাউকে বা কোদাল, কাউকে কাস্তে, কাউকে বা হাতুড়ি ধরতে হবে।

   ততদিন ভারতবর্ষের বুক চিরে ওদের আজকে ঘরে ফেরার জন্য তৈরি করা পথ দিয়ে গজিয়ে উঠবে সবুজ ঘাস।মুছে যাবে পায়ের ছাপ।পা থেকে সেরে যাবে ফোস্কা পড়ার ক্ষত।

শুধু থেকে যাবে ভারতবর্ষের বুকে আরো একটা ভারতবর্ষের ঘরে ফেরার ইতিহাস....
আরো একটা ভারতবর্ষের হেঁটে যাওয়ার লড়াই...
আরো একটা ভারতবর্ষের রেল লাইনের ধারে পরে থাকা শুকনো ঝলসানো রুটির গল্প...

-------------------------------------------------

"মা" একটা অভিশাপের নাম

শুভ মাতৃ দিবস ।কিন্তু সবার মাতৃ দিবস টা কি শুভ হয়?
বোধয় হয়না!

মায়ের সাথে চার পাঁচটা সেলফি নিয়ে ফেসবুকে বড়  বড় অক্ষরে শুভ মাতৃ দিবস লিখে পোস্ট করার সবার মতো  আমারও তো ইচ্ছে হয়।কিন্তু সাহস হয়না।
তাই বুঝি সবার মতো আমার মাতৃ দিবসটা আর শুভ হয়ে ওঠে না।

  বন্ধুরাও আমার মায়ের নাম শুনলে নাক কোচকায়।কাছে ঘেষে না। আমার সাথে ওরাও কেমন যেন দূরত্ব বজিয়ে চলে।
 
         সে সম্পর্কটায় আমার প্রিয় প্রেমিক ,আমার কাজল চোখে চোখ রেখে আর চোখ ফেরাতে পারেনি। আজ সকালে হোয়াটাস আপে  তাকে, আমার সাথে মায়ের তোলা একটা পাঠিয়ে ছিলাম।  প্রত্যুত্তরে জিজ্ঞেস করল আমার সাথে থাকা মহিলাটি কে হয় আমার। আমি এক রাশ উৎকন্ঠা নিয়ে বললাম - "আমার মা...।
আজ না মাতৃ দিবস ,তাই মায়ের সাথেই ছবি তুলে সবার প্রথমে তোমাকেই সেন্ড করলাম। কেমন হয়েছে বলোতো?
 প্রত্যুত্তরে ইতস্তত বোধ তোমার টেক্সট,আমায় ঠিক বুঝিয়ে দিলো।আজই তুমি জানিয়ে দিলে বাড়ি থেকে এ সম্পর্কটা তোমার বাবা মা নাকি মানবে না। চোখ দিয়ে গড়িয়ে আসা জলটা  আর মুছলাম না। মনে মনে বললাম আমাদের মতো মেয়েদের হয়ত রঙিন স্বপ্ন দেখতে নেই।
আমাদের মত মেয়েদের কাছে মা রা বুঝি অভিশাপ। মা রা বুঝি একটা স্বপ্ন ভাঙার কারিগর। তাই আমাদের মত সন্তানদের কাছে মাতৃ দিবসটা আর যাই হোক শুভ নয়!

আমি তিয়াশা, যখন শুধু এইটুকু নাম নিয়ে বাচঁতে চাই, তখন আমার মা জীবনের কালো অধ্যায় হয়ে দাঁড়ায়।তবুও ওই পোড়া মুখি মা ই আমার  কলেজ থেকে ফিরতে দেরি হলে দুশ্চিন্তা করে।ভাতের থালা  বেড়ে না খেয়ে বসে থাকে।আমার কান্না চোখে জল মুছে দেয় আঁচলে।একলা হয়ে পড়লে আমার সোনা মেয়ে বলে বুকে জরিয়ে ধরে।  তবুও আমার কাছে, আমাদের মত মেয়েদের কাছে মা একটা অভিশাপ।
  তাই আমাদের মাতৃ দিবসটা বুঝি শুভ হয়ে ওঠে না।

হম আপনাদের সভ্য জগতের আলো আমাদের বস্তিতে পরে না আমাদের মা মেয়ের ঘর জুড়ে থাকে একটা কালো অন্ধকাটায়।বারান্দায় টিপ টিপ করে জ্বলতে থাকে একটা অনিশ্চিত লন্ঠন।লন্ঠনের তেল ফুরিয়ে এলে শুরু হয় আমার মায়ের ওপর শুরু হয়  অপনাদের রাজকীয় অত্যাচার।আপনার ফুরিয়ে যাওয়া সিগারেটের শেষ আগুন টুকু আমার মায়ের পিঠে সাজিয়ে তোলে হাতের মেহেন্দির মতোই সৌন্দর্য ।চেটে পুটে নিয়ে যান আপনারা মায়ের লজ্জা সৌন্দর্য্য কে ।আর মায়ের  অহংকার কে মিশিয়ে দিয়ে যান আপনার পায়ের সাথে লেগে থাকা হাওয়াই চটির সস্তা ধুলোর সাথে। 

হ্যাঁ!হ্যাঁ! আমার মা একজন যৌন কর্মী।আমার মা শরীর বেঁচে খায়।

একজন যৌন কর্মীর মেয়ে বলেই তো আপনারা আমাকে আলাদা করে রাখেন।একজন যৌন কর্মীর মেয়ে বলেই তো আমাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেন আপনারা। শুধু মাত্র আপনাদের শরীরে সাথে জুড়ে থাকা  মানসম্মনের রাতারাতি চুরি হয়ে যাওয়ার ভয়ে।

অথচ আমার মা ই তো আপনাদের সভ্য জগতের বিকৃত মানুষ গুলোকে ফিরিয়ে আনে আরো একটা ধর্ষণ করা থেকে।আরো একটা মায়ের কোল খালি করা থেকে।আরো একটা প্রেমিকাকে ফিরিয়ে আনে প্রেমিকের ভালোবাসার কাছে।

তবে আজ কেন আপনাদের সভ্য সমাজে আমার মা দের ঠাঁই নেই?
কেন এখনো আমার মাকে আপনার শিক্ষিত গলায় শুনতে হয় মাগী ডাক।কেন? 
কেন শুধু মাত্র আমি যৌন কর্মীর মেয়ে বলে এ সমাজ আমায় মেনে নেয় না? 
কেন?কেন? কেন.....?

আর সবার মা বোধয় মা,শুধু আমার মা, মা নয়। তাই আমাদের কাছে মাতৃ দিবস বলে কিছু হয়না।

যদি সত্যিই মাতৃ দিবস বলে কিছু হয় তবে আমিও তো চাই সবার মতোই আমার মায়ের আঁচলের স্বাদ।

আমিও তো জোর গলায় বলতে চাই
আমি তিয়াশা।আমি আমার মায়ের মেয়ে।
হ্যাঁ
আমার মা একজন যৌন কর্মী।
আমি যৌন কর্মীর মেয়ে তিয়াশা.....

------------------------------------------

অপ্রেমিকা তুমি  মায়ের মতই

আমাদের সবার জীবনেই একটা মায়ের মত মানুষ থাকে।হম ঠিক মায়ের মতই।মায়ের মতোই আগলে রাখে।মায়ের মতোই সব খোঁজ রাখে।ব্যাথা পেলে জাপটে ধরে।ছায়া হয়ে পাশে থাকে।ভালোবসে অথচ কোনোদিন মুখ দিয়েও বলবে না তোকে বড্ড ভালোবাসিরে।হম এমন মানুষ আমাদের সবার থাকে।
যার কাছে আমরা নিজেদের ভেঙে চুরে দিয়েও আবার ফিরতে চাই পাগলের মতোই।সে হাজার দোষ করলেও গালিগালাজ আসে না শুধু চোখ মুছে আবার ফিরে যেতে ভীষন ভীষণ ইচ্ছে হয়।

            জানো বর্ণালী,আমার কাছে মায়ের মতোই সেই মানুষটা হলো তুমি।এখনো জ্বরের ঘরে আমার ঠোঁটে তুমি লেগে থাকো।মাঝরাতে ঘুমের ঘরে খারাপ স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়ে যাওয়া এই আমিটা এখনো তোমার ছবি দেখে শান্ত হই।বন্ধুরা যখন এক এক করে হাত ছেড়ে দেয় কিংবা আমার এই মধ্যবিত্ত পরিবারে একটা চাকরীর জন্য বাবার কাছে কথা শুনতে হয়, তখন ঠিক তুমিই তো পাশে বসে জানতে চাও কি হয়ে কি হয়েছে আমার।আমিও তোমার কাছে ঠিক সেই মুহূর্তেই নিজের মুখে সস্তা আঠা দিয়ে লাগানো ভদ্রলোকের মুখোশটা খুলে দিয়ে শিশু সুলভ হয়ে যাই তোমার মাতৃস্নেহে।তোমার ক্লিভেজে আছড়ে পরে আমার গরম নিঃশ্বাস।আমাকে তখন তো তুমিই শান্ত করো, বলো।

          কতবার তোমার ভালোবাসায় মহিত হয়ে আগ বাড়িয়েই মুখ ফসকে বলে দিয়েছি ভালোবাসি তোমাকে।মায়ের মতোই ভালোবাসি।তুমি কখনো তার প্রত্যুত্তর দাও নি।বরং কখনো, না শোনার ভান করেছো।কিংবা কখনো সামান্য হেসে আমাকে  বলেছো পাগল।ভালোবাসলেও মুখে কখনো প্রকাশ করলে না তুমি।

          তবে যেদিন জানতে পারলাম তুমিও প্রেমে পড়ছো।খুব আনন্দ হয়েছিল জানো।কিন্তু যখন তুমি বললে প্রেমে পড়েছ আমার নয়, অন্যকারো ।তখন না জানা বুক চিনচিনে এক ব্যাথা অনুভব করছিলাম সেদিন।কষ্ট পেয়েছিলাম কিনা জানি না তবে যে চোখে তোমায় স্বপ্নে বুনতাম সেই চোখটা অনুভূতির অকাল বর্ষণে বালিশ ভিজিয়ে দিয়েছিল।বিশ্বাস করো ত্রাণ হিসাবে কেউ সেদিন জানতে চায়নি আমার মন খরাপের কারন।

            তারপর এক এক করে যখন অভিমানের পথ ধরে যোগাযোগ কমাতে থাকি নিজে থেকেই তোমার সাথে। তখনও তুমি আবার আগলাতেই চাও।মায়ের মতো।মায়ের মতোই বুঝিয়ে বলতে চাও মা রা চিরকাল সাথে থাকে না রে কিন্তু মা রা দূর থেকে পাগল ছেলেদের পাশে থাকে।জানি না এটা প্রেম নাকি ভালোবাসা!নাকি তার থেকেও বেশি কিছু

            যে সম্পর্কটায় যৌনতা আসে না কোনদিন।যে সম্পর্কটায় কোন চাওয়া পাওয়া নেই, যে সম্পর্কটায় মায়ার বাঁধন খুব শক্ত, তারা পরস্পর ছেড়ে গেলেও ছিড়ে যায় না।পরস্পর কাছে না  থাকলেও খুব দূরত্বে গোপনে বাঁচে তাদের সংসার। হ্যাঁ হয়ত  আর পাঁচটা সম্পর্কের থেকে বেশ জটিল।


            বর্ণালী,খুব ইচ্ছে হলেও, তাই তোমার কাছে ফিরে যেতে না পারলেও আর আফসোস হয় না আজকাল।শুধু তোমার নাম ধরে অন্যকেউ ডাকলে বুকের ভেতর কোথাও একটা ধড়াস করে ওঠে।যেমন করে উপকূলে আছড়ে পড়ে চেনা ছন্দে  সমুদ্রে ঢেউ।আমি তো বুকের মধ্যে সেই ঢেউ ই লুকাই।আর সেই ঢেউয়ে ডুবে গিয়ে ভালোবাসা নামক মুক্ত খুঁজি।তাই হয়ত, 
তুমি আছো।তুমি আছো অগোচরে।তুমি আছো কর্পূরের মত মিশে যাওয়া বাতাসে।তুমি আছো বুকের বামদিকের হোম আইসলেশনে.....

হৃদয়ের কাছে জানতে চেয়েছি বহুবার,কেন তোমায় তবুও বন্দি করে রাখে?
তোমার মধ্যেই নাকি খুঁজে পাই,আমার খেয়াল রাখা মা কে।


-----------------------------------

No comments:

Post a Comment