কবি পরিচিতি : সোমনাথ চ্যাটার্জী~ কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক শিক্ষক প্রশিক্ষক।
শিক্ষক ~রানাঘাট পালচৌধুরী
হায়ার সেকেণ্ডারী স্কুল।১৮৫৩
বি এড এণ্ড এন আই এস ফাস্ট ক্লাশ First (Eastern India).
গ্রন্থকার ~সয়চাঁদ~ সাহিত্য পত্রিকা।
গ্রন্থকার ~শ্বেতলীনা ~সাহিত্য পত্রিকা।
সম্পাদক ~ চন্দ্র~সাহিত্য পত্রিকা।
সম্পাদক ~নেপথ্যে~সাংস্কৃতিক সংস্থা।
সাংবাদিক ~রাজচক্র পত্রিকা, খবর ৩৬৫ দিন।
প্রাপক~রবীন্দ সাহিত্য পুরস্কার।
প্রাপক~আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পুরস্কার।
প্রাপক~কবি সুকান্ত ভট্রাচার্য সন্মাননা পদক।
প্রাপক~কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পদক।
প্রাপক~কবি বিদ্যাসাগর দ্বিশতবর্ষ সন্মাননা পুরস্কার।
প্রাপক~বিবেকানন্দ জন্ম সার্ধ শতবর্ষ পদক।
প্রাপক~পলাশ সোম সন্মাননা পদক।
প্রাপক~আন্তর্জাতিক কবিতা দিবস সন্মাননা পুরস্কার।
প্রাপক~লোকনাথ মহিলা উন্নয়ন পদ্ক।
মুঠোফোন~৮৯০০১৭৭৫৪৮/৮৯৭২৪৯৮৪৫৮.
রানাঘাট।নদীয়া।পিন~৭৪১২০১.
৩৩/বি এস ভি সরণী।কামার পাড়া।।
-----------------------------------------------------
ভালোবাসা
ভালোবাসার মানুষ
তুমি কি জানো কবি
সে কেমন হয়?
তুমি তো কত্তো ভালোবাসার
কবিতা লেখ সবগুলো
সব গুলো কি সার্থক হয়?
কি করে এগোতে হয়
সাহস না ভীতু না মাঝামাঝি
কে কোনটা পছন্দ করে!
কি করে বুঝব তাই?
সাড়াটা যৌবণ ভারতের
নানা প্রান্তে শুধু খেলা
আর খেলা হাততালি চাই।
কখন বেলা গড়িয়ে মাঝ
গগনে পোঁছে গেছি!
মুখটা রোজ দেখি মুঠোয়
আজ বুঝি জন্ম দিন
কি করে কেক পাঠাবো
একে এত দূরে আর
বয়েস তো জানা নেই।
আচ্ছা কবি বয়স কি
হতে পারে অন্তরায়?
কখনও প্রশংসা কখনও রাগ
অভিমান,অনুরাগ না সে
তো রাধা কৃষ্ণের হয়।
জানো কবি লক্ষীশ্রী
সাড়াটি দেহ যেন শিউলি
ফুলের বোঁটার রঙ
ভরা যৌবণাত্তীর্ণ কোমলতায়।
জানিনা কবি মুঠোফোনে
কেন ঝকমক করে তাই!
না ফোন নাম্বার না
উত্তর। কপাল ঠুকে MANY MANY
HAPPY RETURNS OF THE DAY.
কবি সুন্দর লিখেছ ;ভালোবাসি
বই মেলায় দেখা হলে
বলব তাই। ভালো থেকো
ভালো রেখ তদ্দিন এই
টুকু চাই।।
------------------------------------------------------------
"নিরাশার পেশাদার
সুদূর সাইবেরিয়া থেকে
আলিপুর চিড়িয়াখানার সরোবর
কয়েক হাজার মাইল পথ
ডানা ঝাপটে কলকাতায়। কারন
অতিরিক্ত ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচা;
যাদের পরিযায়ী পাখি বলে।
দেশের শ্রমিক পরিযায়ী!
কি বলছো কবি? হ্যাঁ শোনো;
অদৃশ্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র শত্রু বিষ
আক্রান্ত করেছে মানব প্রজাতি কে।
আন্তঃরাজ্য শ্রমিক বন্টন চলছে বহুদিন
তিন মাস বেরোজকার অনাহার
অব্যবস্থা অত্যাচার অরাজকতা অনিশ্চয়তা?
যে যার বাড়ি ফিরতে বদ্ধ পরিকর
বন্ধ সড়ক বাহন, বন্ধ রেল বাহন
রেল ট্রাকের স্লিপার ধরে বৃদ্ধ বৃদ্ধা
রোগী,অন্তঃসত্ত্বা, শিশু, বাচ্চা কোলে মায়েরা
কিশোর কিশোরী যুবক যুবতী মাঝ বয়সী।
শত শত কিমি পদব্রজে পরিশ্রান্ত।
নিশীথ রাতে রেলে মাথা রেখে ২২ জন ঘুমে অচেতন। অজানা ছিল পরিযায়ী বাদ দিয়ে সকলের জন্য রাত্রে চলছে পণ্যবাহী মালগাড়ি।
রোজের মতো ভোর হলো গুনতিতে মাত্র ৬ জন
লাল টমেটো সস নয়
বাকি ষোলো জনের কিমায়
রক্ত মাখানো গোল গোল পরিযায়ী রুটি।
থামেনি চলছে একইভাবে নিরুপায় গমন।
সড়ক পথে বহন একটু আলাদা মায়ের
কাঁধে কোঁকে বাচ্চারা, আর দাদা বাবাদের সাইকেল, মোটর সাইকেল সহ সারা দেহে আলনার মতো ঝুলছে অগুনতি ভবিষ্যৎ পরিযায়ী।
পিছন থেকে মালবাহী ২০ চাকার তলায় কমল বেশ কজন।
না কারোর হেল দোল
রেলেও ছিলোনা, সড়কেও নেই। দোষ নেই সামনে "নিরাশার পেশাদার"দের যে কোনো আশু গোল নেই।
পরিযায়ী ফুটবল নষ্ট হলে আরো আছে। প্রতিপক্ষ দুটি রাজ্যের টানটান উত্তেজনা চলছে উত্তেজনার আগুনে আঁচ পোয়ানোর মনোরম ইনকাম।
শীত কমতে পরিযায়ী পাখিরা
পারি দিয়েছে সাইবেরিয়ায়।
ভারতের পরিযায়ী শ্রমিক রাও থেমে নেই, চলছে অশনির সংকেতে আলেয়ার টানে অজানায়।
কি বললে কবি? আমরা তো দেখি নাই?
হাঃ হাঃ হাঃ
এই কে? কে?
ভয় নাই আমরা
আমরা লাল পরিযায়ী রুটি।।
--------------------------------------------------------
"অছিলায়"
বসে আছি তোমারি অপেক্ষায়.,
মন আনচান তোমারি ভাল বাসায়।
একেলা জগৎ ভুলে
বসে আছি ব্রহ্মানি
নদী তীরে, তোমারি
প্রতীক্ষায়।
যেদিকে তাকাই দেখি
যে ছুটির ছবি।
প্রকৃতির প্রতি মন
বিরুপ আজিকে মৃদুমন্দ
হাওয়ায়।
মনের মতি হয়েছে আজিকে
একমুখি,
সে যে তোমাকে চায়।
দেখা দাও প্রিয় অঘটন
থেকে বিরত শান্ত করো
তাকে। সে যে একগামী
সে যে বড়ই অসহায়।
তুমিও তো ভালোবাসো তাকে তবে
কেন করো দেরি না না অছিলায়।।
-----------------------------------------------------------
No comments:
Post a Comment