কবি পরিচিতি : শ্রী কমল ঘোষ।
পিতা- শ্রী পরাণ চন্দ্র ঘোষ, মাতা- অনিমা দেবী। জন্ম- ইংরেজি ১৯৯৫ সনে। মালদহের ইংলিশ বাজারের এ. কে. গোপালন কলোনী গ্রামে। শিক্ষা জীবন- প্রাথমিক শিক্ষা বিবেকানন্দ শিশু মন্দির থেকে। মাধ্যমিক গৌড়ীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্পন্ন করার পর বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক মিল্কি উচ্চ বিদ্যালয়ে (উ: মা ) ভর্তি। তারপর গৌড় মহাবিদ্যালয়ে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী।
ছোটবেলা থেকে লেখালেখি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেওয়াল পত্রিকা সহ বিভিন্ন পত্রিকায় কিছু লেখা প্রকাশিত হয়। কবি বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। পরিবেশ সচেতনতার উপর বিভিন্ন রকম কাজ করে চলেছেন।
------------------------------------------------------------------
দ্যাশের ভাষা
উত্তর বাংলার লোক হামি
ম্যালাই ভাষাতে কথা কহি,
কেউ বুঝুক আর না বুঝুক
হামরা তো বুঝি,এই ভাষাতেই হয় লাজুক।
ভদ্দরলোকের কথা বুইঝতে পারি না,
ত্যাতে হামার কিচ্ছুই ক্ষতি হয় না।
জীবনের থ্যাকা ভালোবাসি তোকে,
এই ভাষা কহলে মনের ভীতর জুড়িয়্যা যায়।
এই চৈত মাসে শিমোলের ফুল দিয়্যা,
তোকে কোহ্যাছিনু গোটা জীবন পাশে থাকিস জীবন ভইরা।
---------------------------------------------------------------
অভিমানি
বিস্তীর্ণ সাদা ফুলে ঢেকে রেখেছি মাঠ,
গন্ধ নেই সাদা আমি ,আমিই কাশ।
কিছু ফুল ঝড়েছে, আপন খেয়ালে;
হিসেব রাখেনি কেউ,এতো কিছুর।
তবুও রূপ দিয়েছি শরতের প্রকৃতিকে,
কেন হারিয়ে যেতে বসেছি পৃথিবীর বুকে?
উৎখাত হয়ে চলেছি প্রতি ক্ষণে ক্ষণে,
তবুও কি হিসেব রাখবে না এতো কিছুর?
ইট পাথরের বেড়া জালে আটকে গেছি,
কেউ এক বারও বলে না আমরা আছি।
---------------------------------------------------------------
আজও তোর অপেক্ষায়
আছি বসে আজও আমি তোর অপেক্ষায়
তোকে পড়ছে মনে, হৃদয়ের মণিকোঠায়।
ধরেছিলাম হাত; তখন দিয়েছিলি কথা,
আজ সেসবের,স্বপ্নে পাই শুধু বুক ভরা ব্যথা।
এই তো সেদিন, নবম শ্রেণীর ক্লাসের ভেতর,
তোর দিকেই তাকিয়ে,খেয়েছিলাম স্যারের চড়।
মনে হয়নি তখন কিছুই ,শুধু হয়েছিলাম অবাক,
সবার মাঝে স্যার মারল কেন চড় এসে হঠাৎ?
বুঝতে পেরেও ছিলাম অবুঝ,তোর জন্যই শুধু, টিফিনের সময়, ভাগ করে খেয়েছি কত কিছু।
কদম,কৃষ্ণচূড়ার নিচে, বসে কেটে যেত সময়, কদম আর লাল রঙা ফুলের আলতো ছোয়ায়।
আবেগী মনে গল্প কথায়,কেটে যেতো দিনগুলো,
ঘন্টার শব্দে স্কুল ছুটি, প্রতিদিন এটাই যে ছিলো।
স্কুল ছুটির আনন্দটা যেন অন্য রকম হোতো,
আনন্দ যেন বিষন্নতায় পরিণত হয়ে যেতো।
বাড়ি ফেরার সময় পেছন ফেরে দেখাটা নেই আর,
কৃত্রিম ভাবে আছি ভালো, ভালো হওয়ার চেষ্টায়
আছি বসে আজও আমি তোর অপেক্ষায়
---------------------------------------------------------;;;/;
No comments:
Post a Comment