কবি পরিচিতি : রাঘব পোড়ে।।বাবা-প্রয়াত পুলিন বিহারী পোড়ে, মাতা-প্রয়াত ভুতবালা দেবী। জন্ম-১৯৫৫ সালের ২৬-এ আগস্ট হাওড়া জেলার উদয়নারায়নপুর থানা অন্তর্গত শিবনারায়ণ চক গ্রামে। ছোটবেলা এবং শিক্ষা গ্রামেই।খিলা গোপীমোহন শিক্ষা সদনের ছাত্র ছিলাম।কিছু একটা করব, যাতে মানুষ আমাকে জানতে ও চিনতে পারে সেই প্রবণতা আমাকে পেয়ে বসে।ক্লাস ফাইভে পড়ার সময়ে স্কুলে একটি নাটকে অভিনয় থেকে অভিনয় জগতে প্রবেশ।পরিবারের সকলের উৎসাহে আরও এগিয়ে চলা। কর্মসূত্রে হাওড়ার বালিটিকুরীর বাসিন্দা হলাম।এখানে নাটক নির্দেশনার কাজ শুরু করলাম।হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্ত হতে ডাক আসতো। এইভাবেই চলতে চলতে ৩০/০৯/২০১৫ তারিখে কলকাতা প্রেস ক্লাব-এর মঞ্চে রিপোটার্স এন্ড ফটোগ্রাফার এসোসিয়েশন 'বঙ্গ কৃতি সম্মান-২০১৫' প্রদান করেন ।তারই ফাঁকে একটু আধটু লেখা শুরু।
বহু পত্রিকাতে আমার লেখা যায়।বহু সাহিত্য সংস্থা থেকে আমার আমন্ত্রণ পত্র আসে।কবি মহলে পরিচিতি হবার পরেই একক ভাবেই একটি পত্রিকা সংস্থার উপস্থাপন করি। হাওড়ার 'সন্ধ্যাতারা' নামে বার্ষিক সাহিত্য পত্রিকা সাহিত্য মহলে খুবই প্রশংসা লাভ করে। প্রতি বছর কবি সম্মেলনের মাধ্যমে 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকা প্রকাশ হয় হাওড়ার বালিটিকুরী থেকেই।৬৫বছর বয়সে শারীরিক পরিশ্রম করার ফাঁকে এখনো রাত একটা-দুটো পযর্ন্ত বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিকদের লেখা পড়ে চলেছি, তার সঙ্গে চলছে লেখালেখি। আপনাদের প্রদত্ত উৎসাহে জীবনের শেষ দিন পযর্ন্ত কলমকেই সঙ্গী করে চলবো এটাই জীবনের লক্ষ্য এটাই শেষ ইচ্ছা।
-----------------------------------------------------------
*মূল্যবোধের খোঁজে*
সংগতি হীনতার মূল্যবোধ খুঁজতে
ছুটে গিয়েছিলাম,
জীবন আবিষ্কারের বন্দরে।
যেখানে নির্জন গিরিখাতে
মৃত্যুরা হাতছানি দেয়।
ফ্যাকাশে চাঁদের আলোয় দৃশ্যমান,
স্বর্নগর্ভা প্রকৃতিকে বিবস্ত্র করে
কেড়ে নিয়েছে গোপন সম্পদ।
দংশনে দংশনে শরীরটাকে নিলবর্ন করেছে।
ঠুং ঠাং পেয়ালার শব্দের ভাইরাস
অক্টোপাস হয়ে বাঁধতে চায়।
গিরিখাতের আরও নীচে,
সাম্প্রদায়িকতার তকমা লাগিয়ে
সুবিধাবাদী মঞ্চে কয়েকটি সারমেয়
নীতিবাদের লেজ নাড়িয়ে চলেছে।
ভোরের সূর্যরশ্মি,
প্রতিফলিত হয় ভবিষ্যতের চোখে।
মহাপ্রলয়ের অগ্নিপিন্ড হয়ে
এগিয়ে আসছে আমাদের দিকে।
------------------------------------------------------------
*আমাকে গুলিবিদ্ধ করো*
বার্ধক্যের সীমান্তে দাঁড়িয়ে
আদর্শের অহংকারে গর্বিত।
কর্তব্য ছাড়া কিছুই নেই সঞ্চয়।
কেউ প্রশংসা করে,কেউ নাক তোলে।
সমাজের কালো মানুষগুলোর চরিত্রটা
রাতের অন্ধকারে পরিষ্কার দেখা যায়।
রাতের আকাশে দেখি কালপুরুষ,
দিনের আলোয় ঘুরে বেড়ায় সু-পুরুষ,
আর আমরা সবাই কা-পুরুষ।
ফুটো হৃৎপিন্ড হাতড়ে খুঁজতে চায় ভারতবর্ষকে।
সত্যিকারের মানুষগুলোর স্পন্দন বাড়ছে।
মানুষকে সংযত হবার সংকেত জানাতে
প্রকৃতি বারবার আঘাত হানছে।
তান্ডবলীলায় ধুয়ে যাচ্ছে মানবজাতির
পায়ের নিচের শক্ত মাটি।
লোনা জলে চেতনার বীজে পচন ধরেছে।
রণক্ষেত্রে ক্লান্ত সৈনিক আবেদন করে---,
'আমাকে গুলিবিদ্ধ করো'।
------------------------------------------------------------
*অক্ষর জ্ঞান*
বয়সটা যার যেমনই হোক না কেন,
প্রত্যেকেই কিন্তু সাগর কিনারে অথবা
গিরিখাতের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছি।
মৃত্যুর আতঙ্কে প্রহর গুনছি।
মানুষ মানুষের হাত না ধরে চলার জেহাদে
বুকের ছাতি ফুলিয়ে ঘুরছি সমাজে।
সর্বংসহা ধরিত্রীর সহন ক্ষমতা অতিক্রম করছে।
অতঃপর সন্তানদের ছত্রছায়ায় রাখার অসীম প্রচেষ্টা।
ছোট ছোট বিপদ সংকেত জানিয়ে বারবার
সততার পথে চলার মিনতি করে।
মানুষ কিন্তু এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ।
মানুষ তৈরির কারখানায় কারা যেন
রক্তাক্ত থাবার দাগ রেখে গেছে।
প্রগতিশীল যুবকদের মুখের আদতটা
মানুষ শব্দের বিপরীতার্থক রূপ নিয়েছে।
জাতির ভবিষ্যৎগুলো চিরকাল ছেলেমানুষ রয়ে গেল।
আগামীর বার্তা পড়ার অক্ষর জ্ঞান জন্মালো না।
বিবর্ন যন্ত্রনায় শহীদ বেদীর ছবি হয়েই চলেছে।
--------------------------------------------------------------
No comments:
Post a Comment