Friday, 31 July 2020

গল্প : অর্পিতা মিত্র

লেখিকা পরিচিতিঃ অর্পিতা মিত্র উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি তে ছোটো থেকে বড়ো হয়ে ওঠা। বাবা, মা, ছোটো ভাই এর সাথে ভালোলাগা খারাপ লাগা সবটা মিশিয়ে বেশ ভালোই কেটেছে। জন্ম কলকতায়।১৯৯২ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর, জন্মদিন টাও সবার থেকে বেশ খানিকটা অন্যরকম হয়েছিলো, বছরের শেষ পর্বে হলেও আনন্দ টা বরাবরই নতুন ছিলো। পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো সমস্ত প্রিয় সময়ের মধ্যে সোনালী রঙের স্বপ্ন ছিলো। ভাটপাড়া সেন্ট্রাল হিন্দু গার্লস হাইস্কুল থেকে স্কুল জীবনের পথ চলা শেষ হলেও,এক নতুন শুরু হয়েছিলো। অন্য রকম স্বপ্ন নিয়ে বোধহয় সবাই কলেজের গল্প হতে চায়, আমার ও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজ থেকে গ্ৰাজুয়েশন শেষ করি। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মস্থান, তার নামাঙ্কিত কলেজে পড়াশোনা করতে পারাটা ভীষণ গর্বের বিষয়।


বাংলার প্রতি ভালোবাসাটা সেই ছোট্টোবেলা থেকেই ছিলো,লেখার সাহস হয়তো করে উঠতে পারি নি,তবে চেষ্টাটা চালিয়েছিলাম। খুব পরিচিত এক দাদা আর দিদিকে দেখে লেখার প্রতি অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম সাথে খানিকটা দুঃসাহস ও বটে। বাংলায় মাষ্টার্স কমপিল্ট করি রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সেখানে নতুন করে ভালোলাগা ও ভালোবাসার এক অনন্য সৃষ্টি। রবি ঠাকুরের লেখার প্রতি নতুন করে ভালোবাসা জন্মেছিলো।আজ ও ভীষণ মনখারাপে সঞ্চয়িতা খুলে বসতে ইচ্ছে করে বারংবার । নতুন করে প্রানের আশ্বাস পাই রবি ঠাকুরের লেখার মাঝে।
ভালোবাসি বই পড়তে,গল্প করতে, গান শুনতে,কখনো বা কবিতা লিখতে,আর ভালোবাসি বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিতে বিরিয়ানী কে সঙ্গে নিয়ে। জীবনে বন্ধু গুলোকে পাশে পেয়েছি উৎসাহ দিয়েছে নতুন করে লেখার। নিজের লেখারই প্রেমে পড়েছি একাধিকবার। নিজেকে অনেকটা ভালোবাসলে বোধহয় লেখাতে ভালোবাসা ও বিচ্ছেদ উভয় পক্ষই ধরা দেয়। জীবনে প্রেম এসেছে সহস্রবার,তবে প্রেমের স্বার্থকতা বোধহয় বিচ্ছেদেই।তবে দুঃখ নিয়ে কখনো লিখি নি একরাশ ভালোবাসা নিয়ে আমার লেখার শুরু, এভাবেই হোক কোনো এক গল্পের পথচলা।লেখার সমালোচনা-ই বোধহয় লেখকের স্বার্থকতা........।

------------------------------------------------------------------

স্বীকারোক্তি
    

রাই....…...…
কেমন আছিস, তোর সাথে কোনো এক দুপুরে দেখা হবে, সেই আশায় আজ ও বুক বেঁধেছি...
না বলে চলে গিয়েছিলি....
আগে তো চোখের দিকে তাকিয়ে সবটা বুঝতে পারতিস তবে আজ এই প্রশ্ন ?
অবাঞ্চিত প্রশ্ন করলাম বুঝি,আমিই হয়তো তোর জীবনে অবাঞ্ছিত হয়ে‌ পড়েছিলাম।
পিল্জ চুপ কর ...…মিথ্যে বলিস না।
এয়ারপোর্টে আমি হাত ঘন্টা অপেক্ষা করেছি,তুই এসেছিলি অবশ্য তবে অন্য কারোর সাথে।
আবার ও ভুল ভাবছিস,সব দেখা গুলো কে নাই বা সত্যি ভাবলি....
কোনটা ভুল আমার দেখা টা নাকি, অন্য কারোর সাথে ফেরা টা??
বিশ্বাস কর আমি সবটা জানতাম, তবু তোর মুখ থেকে শুনতে চেয়েছিলাম।
শেষবারের মতো তোর চোখের দিকে একদৃষ্টে তাকাতে চেয়েছিলাম।
আজ ও চুপ করে থাকলি,সত্যিই কিছু বলতে চাস না??
এটা হয়তো তোর না শোনা কথা গুলোর শেষবারের মতো জানতে চাওয়া,
শেষবেলায় প্রশ্নোত্তোরের পালাবদল.....।

----------------------------------------------------------------------


No comments:

Post a Comment