ভয়ঙ্কর সর্বনাশগুলো দূর থেকেই দেখছি
অন্তর্জাল ও ফেসবুকের আশীর্বাদে।
ধ্বংসস্তুপ দেখছি আর অন্তর্দাহে দগ্ধ হচ্ছি
ধর্মোন্মাদদের তান্ডবলীলার বিভীষিকা দেখে।
নিপীড়িত -নির্যাতিত-নিষ্পেষিত সংখালঘুদের উপরে
ধর্মোন্মাদ জিহাদিদের নির্যাতন -হত্যা-ধর্ষন
মন্দিরে- গৃহে লেলিহান অগ্নি সংযোজনে সমাহিত চিরকালের স্বপ্ন।
ধর্মের ষাঁড়ের জনস্রোতে ও প্রবল আক্রমণে অস্তিত্ব টেকাই দায়
সংখ্যালঘুদের আপন জন্মভূমির ভিটে মাটিতে।
মাথা তুলে দাঁড়ানো তো দূরের কথা
চলছে জীবন বাঁচানোর এক মরিয়া প্রয়াস প্রতিনিয়ত।
যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতা আবার
সবুজ-শ্যামল-নরম -নির্মল বাংলার বুকে।
জিহাদিদের পৈশাচিক আক্রোশ -আক্রমন
মহামান্য সরকারের মৌনতা ধারণ
এক অভিশাপ, গণতান্ত্রিক নামধারী দেশের কাছে।
এক সোনালি -সুবর্ণযুগ আততায়িদের কাছে
পাগলা হাতির মতোই দাপিয়ে চলছে বাংলার বুকে।
অবাক লাগছে ভণ্ড সরকারের ভণ্ডামিতে,
নীরব বুদ্ধিজীবী -নীরব সুধীগণ এ বর্বরতার কাছে।
কে তবে এ নির্যাতিতদের পাশে?
কিসের দেশ-কিসের জন্মভূমি
কিসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রাম
সবই প্রহসন
এই ধর্মোন্মাদ মানসিক বিকলাঙ্গ জিহাদিদের কাছে।
রবীন্দ্রনাথ -নজরুল-জীবনানন্দ- সত্যেন্দ্রনাথদের সোনার শ্যামল বাংলা
এখন জিহাদিদের পীঠস্থান -মুক্তাঙ্গন।
লজ্জা হচ্ছে -লজ্জা হচ্ছে
সোনার বাংলার এ ঝলসানো রূপ দেখে।
ধিক্কার জানাই তীব্র ধিক্কার জানাই
ধর্মোন্মাদ লুটেরা জিহাদিদের,
ধিক্কার জানাই তীব্র ধিক্কার জানাই
মহামান্য গণতন্ত্রের রক্ষক-ভক্ষক প্রহসনের প্রশাসককে।।
No comments:
Post a Comment